চীনে এটা দুতের্তের পঞ্চম সফর। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দুতের্তেকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,
"পুরাতন বন্ধুকে আবার দেখতে পেয়ে আমি খুব খুশি। আমরা অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আমি প্রেসিডেন্ট দুতের্তের চীনে এসে বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা দেখাকে স্বাগত জানাই। এটা বন্ধুত্বের বিনিময়ও বটে। আমরা আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাওয়ার মতোই পারস্পরিক সফর করি।"
দুতের্তে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং 'বৃষ্টির পর রংধনু দেখা যায়' বলে দু'দেশের সম্পর্ককে বর্ণনা করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ফিলিপিন্স সফর করেন। তা ছিল ১৩ বছর পর কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম ফিলিপিন্স সফর। এর মাধ্যমে চীন ও ফিলিপিন্স সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চীন-ফিলিপিন্স সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করে চীনা প্রেসিডেন্ট সি বলেন,
"প্রেসিডেন্ট দুতের্তে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরের তিন বছরে দু'দেশের সম্পর্ক আরও সুসংবদ্ধ ও উন্নত হয়েছে; অর্জিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। আমি প্রেসিডেন্ট দুতের্তের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ইচ্ছুক। এটা শুধু দু'দেশ ও দু'দেশের জনগণের জন্য অনুকূল, তা নয়; বরং তা আঞ্চলিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।"
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, দু'দেশের উচিত 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ ও ফিলিপিন্সের 'বড় নির্মাণ' প্রকল্পের সংযোগ ত্বরান্বিত করা এবং অবকাঠামো, শিল্প-পার্ক, টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা। চীন ফিলিপিন্সের শ্রেষ্ঠ ফল ও কৃষিজাত পণ্য আমদানি বাড়াতে এবং ফিলিপিন্সে মত্স প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ পাঠাতে ইচ্ছুক। মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীন অব্যাহতভাবে ফিলিপিন্সের স্বার্বভৌমত্ব ও বাইরের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের চেষ্টাকে সমর্থন করবে।
গত এপ্রিল মাসে, দুতের্তে চীন সফর করেন এবং দ্বিতীয় 'এক অঞ্চল, এক পথ' আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক শীর্ষ ফোরামে অংশ নেন। এবার আবারও চীন সফর করতে এসে তিনি বলেন,
"চার মাস আগে আমি চীন সফর করেছিলাম। তখন আমি চীনে এসে 'এক অঞ্চল, এক পথ' আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক শীর্ষ ফোরামে অংশ নিয়েছি। ফোরাম সফল হয়েছে। তবে আমার ও প্রেসিডেন্ট সি'র মৈত্রী এবং দু'দেশের সম্পর্কের গুরুত্ব বিবেচনা করে আমার মনে হয়েছে, আবারও চীন সফর করার প্রয়োজন আছে। আমি চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিই। ফিলিপিন্স চীনের সঙ্গে যৌথভাবে সমুদ্রের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস খাতে কাজ করতে ইচ্ছুক।"
(শুয়েই/আলিম)