এশিয়ার শীর্ষ ব্র্যান্ডের তালিক প্রকাশিত: হুয়াওয়েই চীনা ভোক্তাদের সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ড
  2019-09-12 14:22:23  cri

১. সম্প্রতি ২০১৯ সালের শীর্ষ ৫০০ এশীয় ব্র্যান্ডের তালিকা হংকংয়ে প্রকাশিত হয়। ২২টি দেশ ও অঞ্চলের ৫০০টি ব্র্যান্ড তালিকায় স্থান পায়। টয়োটা গাড়ি, চীনের স্টেট গ্রিড, ও আইসিবিসি তালিকায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করে। আর হুয়াওয়েই চীনা ভোক্তাদের সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

বিশ্বের দুটি খ্যাতনামা ব্র্যান্ড মূল্যায়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে শীর্ষ ৫০০ এশীয় ব্র্যান্ডের তালিকা প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের তালিকার ৪২.২ শতাংশই চীনা ব্র্যান্ড।

২. যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট বাণিজ্যিক সংঘাতে চীন পাল্টা-ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে, চীন দৃঢ়ভাবে বাণিজ্যিক সংঘাতের তীব্রতার বিরোধিতা করে এবং শান্ত মাথায় সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে চীনের ৫৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বাতিল করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত বলে চীন মনে করে। এতে বাণিজ্যিক সংঘাতের তীব্রতা এড়ানো সম্ভব হতে পারে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাও ফোং গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।

মুখপাত্র বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে চীনের অবস্থান বরাবরই কঠোর। চীন বারবার বলছে, বাণিজ্যিক যুদ্ধের তীব্রতা চীন, যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ সংঘাত বিশ্বের জন্য অত্যন্ত খারাপ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

মুখপাত্র আরও বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় আছে। চীনের আর্থ-বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের আলোচনা এখন চলছে। তবে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অব্যাহত আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত সৃষ্টি করা।

৩. এদিকে, চীনা রফতানিপণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক শুল্ক আরোপের পাল্টা জবাব হিসেবে, সম্প্রতি চীনা ট্যারিফ কমিশন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭৫০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানিপণ্যের ওপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ০১ মিনিট এবং ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ০১ মিনিট থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত গাড়ি ও গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর যথাক্রমে ২৫ ও ৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক ব্যবস্থা এবং নিজের বৈধ স্বার্থ রক্ষা করতে চীনের সংশ্লিষ্ট আইন ও সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি অনুযায়ী চীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

৪. চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা ব্যবস্থা শক্তিশালী ও সঠিক। সম্প্রতি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গবেষণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে চীনের বৈদেশিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গবেষণালয়ের প্রধান সাং পাই ছুয়ান বলেন, চীনের পাল্টা ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন, কর্ন, সুতাসহ কৃষিপণ্য, জলজ পণ্য ও অশোধিত তেলসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো অতিরিক্ত শুল্কের আওতায় আসবে। এ ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে যথেষ্ট আঘাত করবে।

তিনি বলেন, চীনা রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলেও, মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনের বিশাল বাজার ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ত্যাগ করতে রাজি নয়। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। এদিকে, চীনে বিদেশি পুঁজির বিনিয়োগ ক্রমশ বাড়ছে। চীনের উন্নয়নের সম্ভাবনা অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে আকর্ষণ করছে। চীনের বাস্তব অর্থনীতি ও নির্মাণ শিল্পের ভিত্তি অনেক স্থিতিশীল।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা ও ওশেনিয়া বিভাগের গবেষণালয়ের প্রধান লি ওয়েই মনে করেন, চীনের এই পাল্টা ব্যবস্থা কেবল যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আঘাত, তা নয়; এতে চীনের নিজের ক্ষতিও সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকবে।

৫. চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক সংঘাত দিন দিন গুরুতর হচ্ছে এবং মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনা বাজার ত্যাগে বাধ্য করতে 'আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন' (আইইইপিএ) প্রয়োগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন সরকারের এমন ধারাবাহিক নেতিবাচক আচরণের সমালোচনা করছে সেদেশের বিভিন্ন মহল ও আন্তর্জাতিক সমাজ।

যুক্তরাষ্ট্রের দি ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, চীন ত্যাগ করার প্রস্তাব মার্কিন রিটেইলারদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। কারণ, চীনা বাজারে তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বিদেশে বাজার উন্নয়নের সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করেছে এবং মার্কিন শ্রমিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ বয়ে এনেছে।

মার্কিন গণমাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষের বিশ্লেষণ উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, মার্কিন কোম্পানিগুলোকে চীন ছাড়তে বলার অধিকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেই। কৃত্রিমভাবে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক নষ্ট করলে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আখেরে যুক্তরাষ্ট্রের তথা বিশ্বের অর্থনীতির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

এদিকে, জাপানি অর্থনীতিবিদ এহারা নরিয়োশি মনে করেন, মার্কিন-চীন আর্থ-বাণিজ্যিক সংঘাতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদের জীবনমানে এর নেতিবাচক প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে চীনের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন দিয়েছিল ওয়াশিংটন। অথচ বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্দেহ ছড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন এবং এর সমালোচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ আচরণ আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

৬. চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনে মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মোট পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত দুই বছরের একই সময়ের গড় পরিমাণের তুলনায় ১.৫ শতাংশেরও বেশি। শাংহাইতে 'টেসলা' সুপার কারখানার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে; মার্কিন তহবিল বেইন ক্যাপিটাল চীনে পরিসংখ্যানকেন্দ্রে ৫৭ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনা বাজারের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে এবং তারা এ বাজার নিয়ে আশাবাদীও। চীনা বাজারে নতুন সাফল্য অর্জনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। সিআরআই এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে সম্প্রতি এ সব কথা বলেছে।

নিবন্ধে বলা হয়, চীনের ১৪০ কোটি লোকসংখ্যার এতো বড় বাজার কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। চীন আন্তঃদেশীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সম্পূর্ণ শিল্প-চেইন ও সরবরাহ-চেইনের সেবা দিতে সক্ষম। এখানে বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এ ক্ষেত্রে চীনের প্রাধান্য সুস্পষ্ট।

নিবন্ধে আরও বলা হয়, চীন 'বিশ্ব কারখানা' হিসেবে পরিচিত। এই অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি; অল্প সময়ের ব্যবধানে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোও সম্ভব নয়। কিন্তু দৃশ্যত, যুক্তরাষ্ট্র রাতারাতি পরিবর্তন আনতে চাইছে; বাজার-অর্থনীতির শৃঙ্খলা নষ্ট করার পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক ব্যবসা-কার্যক্রমকেও ব্যাহত করছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, চীন বিদেশিদের জন্য নিজেকে আরও উন্মুক্ত করার কার্যক্রম অব্যাহত রাখায়, 'বিশ্ব কারখানা' হিসেবে এর ভূমিকা আরও জোরদার হয়েছে। এখন আগের যে-কোনো সময়ের তুলনায় বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীনে বেশি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে।

৭. চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি চীনের অর্থ ও অর্থনীতি কমিশনের পঞ্চম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় সি চিন পিং বলেন, সবার উচিত বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য উপযোগী উন্নয়ন-কার্যক্রম পরিচালনা করা। তিনি চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো, এবং শাংহাই, কুয়াংতুং ও লিয়াওনিংসহ বিভিন্ন প্রদেশের উন্নয়ন-প্রতিবেদন শোনেন।

সভায় বলা হয়, বর্তমানে চীনের আঞ্চলিক উন্নয়ন-কার্যক্রম ভালো প্রবণতা দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাঠামোরও রূপান্তর ঘটছে। এ অবস্থায়, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই আঞ্চলিক সমন্বিত উন্নয়ন এবং বিভিন্ন অঞ্চলের নিজ নিজ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নব্যতাপ্রবর্তনের চালিকাশক্তি জোরদার করা প্রয়োজন।

সভায় আরও বলা হয়ে, সারা চীনে উন্মুক্ত ও সুশৃঙ্খল পণ্য-বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্পদ বিতরণে বাজারের নির্ণায়ক ভূমিকা নিশ্চিত হয়েছে।

৮ চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লি হ্য সম্প্রতি দ্বিতীয় চীন আন্তর্জাতিক বুদ্ধিমান শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং'র শুভেচ্ছাবার্তা পড়ে শোনান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং'র শুভেচ্ছাবার্তায় বুদ্ধিমান শিল্প উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যা এ শিল্পের স্বাস্থ্যকর উন্নয়নের জন্য দিক্‌-নির্দেশনাস্বরূপ।

তিনি বলেন, চীনে এখন গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চীনে আছে উন্নয়নের প্রাণচঞ্চল ভিত্তি ও পর্যাপ্ত নীতিমালা, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল প্রবণতা ঠিক রাখতে সক্ষম।

লি হ্য আরও বলেন, চীন সুষ্ঠু শৈল্পিক পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ভিত্তি সুসংবদ্ধ করবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চীনে বিনিয়োগ ও কার্যক্রম চালুকে স্বাগত জানায় বেইজিং।

৯ সহিসংতার অবসান ঘটিয়ে ও আলোচনার মাধ্যমে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন চীনের হংকং প্রশাসনিক অঞ্চলের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও আইন পরিষদসদস্য।

হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের আর্থিক মহাপরিচালক ছেন মাও পো বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতার পাশাপাশি হংকংয়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় 'অর্থনৈতিক টাইফুন' ধেয়ে আসছে বলে অনেকের আশঙ্কা।

ছেন মাও পো আরও বলেন, গত দু'মাসের দাঙ্গা-হাঙ্গামা অর্থনীতির ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে অনেকে কর্মচ্যুত হয়েছেন। এ অবস্থায় সামাজিক উত্তেজনা প্রশমন করে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।

হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের অর্থ ও মজুতবিষয়ক মহাপরিচালক লিউ ই সিয়াং বলেন, হংকংয়ের অর্থনীতি চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সংঘাত ও ব্রিটেনের ব্রেক্সিটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উপাদান দ্বারা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সামাজিক অস্থিতিশীলতা। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে বৈরিতা পরিহার ও সংযমের মাধ্যমে হংকংয়ের বহুবছরের অর্জিত অগ্রগতির যাত্রা ধরে রাখতে হবে।

১০ সম্প্রতি হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকার এক সাংবাদিক সম্মেলনে হংকংয়ের অর্থনীতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে। সাংবাদিক সম্মেলনে হংকংয়ের পরিবহন ও গৃহায়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক ছেন ফান বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিক থেকে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুবার জনসমাবেশের কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ৮ থেকে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত জনসমাবেশ বিমানবন্দরের কার্যক্রমে গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে প্রায় এক হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। এসময় যাত্রীরাও নানান হয়রানির শিকার হন।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক জনসমাবেশ ও হাঙ্গামার প্রভাবে হংকংয়ের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন আর্থিক খাতও গুরুতর ক্ষতির শিকার হয়। হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগাস্ট মাসে যাত্রীর সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ হ্রাস পায়। পাশাপাশি, মাল পরিবহনও গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে হংকংয়ের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক ছিউ থেং হুয়া বলেন, ৩১টি দেশ তাদের নাগরিকদের হংকং ভ্রমণের ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছে। এতে ১৫ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ৪৬.৬ শতাংশ হ্রাস পায়।

(আলিমুল হক)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040