সাক্ষাতে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও উজবেকিস্তানের সম্পর্ক অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। কারণ, দু'পক্ষ বরাবরই সুপ্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ চিন্তাধারা লালন করে থাকে, একে অপরকে সম্মান করার নীতি মেনে চলে, এবং বংশানুক্রমিক মৈত্রীর চেতনায় বিশ্বাস করে। দু'দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নয়ন করা দু'দেশ ও দু'দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এসময় প্রেসিডেন্ট সি চীন-উজবেকিস্তান আন্তঃসরকার সহযোগিতা কমিটির পঞ্চম সভায় অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সঠিক পথে থাকলে দু'দেশের নির্ধারিত বিভিন্ন সহযোগিতা-প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, চীন ও উজবেকিস্তানের উচিত অব্যাহতভাবে আর্থ-বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ, উচ্চ প্রযুক্তি ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা। চীন উজবেকিস্তান থেকে ভালো মানের কৃষিজাত পণ্যের আমদানি বাড়াবে বলেও প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেন।
জবাবে চীনকে উজবেকিস্তানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত সুপ্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন আরিপভ। তিনি বলেন, তার দেশ চীনের সঙ্গে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে এবং দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রীর সম্পর্ককে গভীরতর করতে ইচ্ছুক। (লিলি/আলিম/সুবর্ণা)