রাষ্ট্রদূত চাং বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও নিরাপত্তা শুধু আঞ্চলিক ও রাষ্ট্রীয় মৌলিক স্বার্থের সাথেই জড়িত নয়, তা বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের সাথেও সম্পর্কিত। রাজনৈতিক পদ্ধতিতে আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান জোরদার করা, জাতিসংঘের মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করাকে সমর্থন দেওয়া, সংলাপ ও আলোচনায় গঠনমূলকভাবে মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করা এবং বিভিন্ন পক্ষের যুক্তিযুক্ত স্বার্থ রক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। সশস্ত্র পদ্ধতিতে অন্য দেশে হুমকি সৃষ্টি করা, বিদেশি শক্তি অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হস্তক্ষেপ করা এবং আধিপত্যবাদী রাজনীতি দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করে বেইজিং। ফিলিস্তিন ইস্যু মধ্যপ্রাচ্যের কেন্দ্রীয় বিষয় আর এতদাঞ্চলের মূল সমস্যা। ফিলিস্তিনিদের যুক্তিযুক্ত অধিকার সংরক্ষণ আন্তর্জাতিক সমাজের অভিন্ন দায়িত্ব।
তিনি আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নে সবার সহায়তা দেওয়া উচিত। যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলা করা, পারস্পরিক উপকারিতার সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক স্থাপন করা, ইরানের পরমাণু চুক্তি সংরক্ষণ করে এর কার্যকরিতা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শুধু একটি দেশের মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘ ও আরব লীগসহ বিভিন্ন সংস্থার গভীর সহযোগিতা করে সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে মতভেদ সমাধান করা উচিত। এতদাঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নে যে কোনো সংলাপকে স্বাগত জানায় বেইজিং।(সুবর্ণা/টুটুল/ওয়াং হাই মান)