চীনের সিনচিয়াংয়ের মানবাধিকার বিষয়ক খবর,সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সুন্দর জীবন ও সিনচিয়াংয়ে শিক্ষকদের শিক্ষা-সহায়তা কার্যক্রম
  2019-08-19 16:50:15  cri

 


চীনের সিনচিয়াংয়ের মানবাধিকার বিষয়ক খবর

চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ২৪টি সদস্যদেশ যৌথ চিঠি দিয়ে চীনের 'সিনচিয়াং নীতি'-র সমালোচনা করে। কিন্তু সম্প্রতি ৫০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতগণ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে যৌথ চিঠির মাধ্যমে চীনের 'সিনচিয়াং নীতি'-র প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে। এ অবস্থায়, সিনচিয়াং বিষয়ে কে সঠিক অবস্থানে আছে, তা স্পষ্ট। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া ছুন ইং এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চীনের 'সিনচিয়াং নীতি'-র সমালোচনাকারী ২৪টি দেশের সবগুলো দেশই পশ্চিমা। দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৬০ কোটি। এসব দেশের মধ্যে কোনো মুসলিম দেশ বা উন্নয়নশীল দেশ নেই। কিন্তু চীনকে সমর্থনকারী ৫০টি দেশের মধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রয়েছে। এসব দেশের মোট জনসংখ্যা ২০০ কোটি। এসব দেশের মধ্যে ২৮টি মুসলিম দেশও রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সিনচিয়াংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসদমন ও চরমপন্থামুক্তকরণ। সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সন্ত্রাসদমন ও চরমপন্থামুক্তকরণ ব্যবস্থা খুব কার্যকর হয়েছে। গত তিন বছরে সিনচিয়াংয়ে কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি।

মুখপাত্র আরও বলেন, চীন সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে, জাতিসংঘ সনদের আলোকে, গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তবে, মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য কোনো দেশ চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে, তা মানা হবে না।

সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের সুন্দর জীবন

গত শতাব্দীর নব্বই দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী, চরম ধর্মীয়পন্থী এবং হিংসাত্মক সন্ত্রাসীদের যৌথ উদ্যোগে চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ধারাবাহিক হিংসাত্মক তত্পরতা সংগঠিত হয়। সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থাবাদের কঠোর হুমকির সম্মুখীনে সিনচিয়াংয়ের স্থানীয় সরকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে এবং তাতে ধারাবাহিক সন্ত্রাসদমন ও চরমপন্থাবাদ নির্মূল ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যা সিনচিয়াংয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত করে এবং গত তিন বছরের মধ্যে সিনচিয়াংয়ে আর কোনো হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে নি।

জুলাই মাসের শেষ দিকে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ভাইস চেয়ারম্যান এরখান তুনিয়াজ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে জানান যে, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্দিষ্ট ঐতিহ্যিক পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী নির্মিত কার্যকর পদ্ধতি এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কাছ থেকে চীন সরকারের সংগৃহীত শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতার ফলাফল, তা জাতিসংঘের সন্ত্রাসদমন উদ্যোগ অনুসরণ করা, সিনচিয়াংয়ের বাস্তবতা ও বিভিন্ন জাতির জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করা, সন্ত্রাসদমন ও চরমপন্থাবাদ নির্মূল করার কার্যকর পদ্ধতি। তুনিয়াজ বলেন,

'সন্ত্রাসবাদ দমন আর মানবাধিকার সংরক্ষণ করা, স্থিতিশীলতা রক্ষা করা ও গণজীবিকার উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা, কঠোর ও শিথিল ব্যবস্থার যৌথ প্রয়োগ এবং নির্দিষ্ট অঞ্চল, জাতি, ধর্মের সাথে যুক্ত না করার পদ্ধতিতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজে কার্যকরিতা অর্জন করেছি। এখন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে কর্মসংস্থানে যোগ দেন, কেউ কেউ বাসার কাছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাথে শ্রম চুক্তি স্বাক্ষর করেন, কেউ কেউ আঞ্চলিক সরকারের অর্থায়নে নিজের কোম্পানি চালু করেন, সুখী জীবনযাপন বাস্তবায়নের সাথে পরিবারের দারিদ্র্যমুক্তকরণের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবায়িত হয়েছে।'

এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুধু বিনা খরচে বাসস্থান ও খাওয়ার ব্যবস্থাই প্রদান করে না, বরং শিক্ষার্থীদের বিদেশি ভাষা,আইন ও দক্ষতা অর্জনে ক্লাসের ব্যবস্থা করে।

তবে পাশ্চাত্য গণমাধ্যমে তথাকথিত 'কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উইগুর জাতির লোকদের আটক রাখা' এমন মিথ্যা খবর প্রকাশ করা হয়। এ সম্পর্কে তুনিয়াজ বলেন, কিছু কিছু দেশ ও গণমাধ্যম 'সাদা ও কালো' কে উল্টো করে চীনকে অপবাদ দেয় এবং তা পুরোপুরি মিথ্যা কথা।

কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং সংখ্যালঘু জাতির রীতিনীতি ও শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে। এখানে শিক্ষার্থীরা জীবনযাপনে নিজেদের ভাষা ও অক্ষর ব্যবহার করেন, জরুরি কাজ থাকলে বাসায় ফিরে যেতে সক্ষম এবং বাসায় বৈধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সক্ষম। তাছাড়া, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক ও খেলার মাঠ নির্মিত হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আনন্দের মাধ্যমে জীবনযাপন করতে পারে।

সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চেয়ারম্যান স্যুয়েকেলাইতি জাখার জোর দিয়ে বলেন, বাধ্যতামূলকভাবে হিংসাত্মক তত্পরতায় অংশগ্রহণকারী আর গুরুতরভাবে চরমপন্থাবাদ দ্বারা প্রভাবিত লোকদের জন্য যথাযথ সহায়তা দেওয়া হবে। এ কেন্দ্র আইন অনুযায়ী চালু হয় এবং এখানে শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়াও সুশৃঙ্খলভাবে চালু হয়। তিনি বলেন,

'তারা এসেছে ও চলে গেছে, নিজের প্রচেষ্টায় এ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষিত লোকদের অনেকে নিজের প্রিয় চাকরি খুঁজে পেয়েছে এবং চমত্কার বেতন নিয়ে সমাজে সুন্দর জীবনযাপন করছে। তারাও সাধারণ মানুষের মতো কর্মসংস্থান এবং সচ্ছল সমাজ বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালায়, তা খুবই চমত্কার সাফল্য।'

জাখার আরো বলেন, পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের জন্য খোলা থাকে। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের সহস্রাধিক সাংবাদিক, রাষ্ট্রদূত, বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিত এবং ধর্মীয় ব্যক্তিরা এখানে পরিদর্শন করেন। তারা উভয়েই সিনচিয়াংয়ের সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা ও আচরণ সমর্থন করেন এবং সিনচিয়াংয়ের অভিজ্ঞতাও শিখতে আগ্রহী। জাখার বলেন,

'অনেক দেশের কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি এখানে আসার পর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে অসাধারণ কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এটা হিংসাত্মক সন্ত্রাসী অপরাধ ও চরমপন্থাবাদ সম্প্রসারণ নিয়ন্ত্রণের চমত্কার পদ্ধতি। বর্তমানে সিনচিয়াংয়ে সামাজিক পরিবেশ ও স্থানীয় নাগরিকদের মনোযোগের ব্যাপার হলো দারিদ্রবিমোচন, সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলা এবং সুখী জীবনযাপন বাস্তবায়ন করা। সাথে সাথে কিভাবে ভিন্ন গোষ্ঠী, ভিন্ন জাতির সহনশীলতার পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়, তা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। যে-কোনো দেশের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, গণমাধ্যম বা ধর্মীয় ব্যক্তিদের সিনচিয়াং সফরকে স্বাগত জানাই।'

চীনের শানতুং প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সিনচিয়াং দূরবর্তী এলাকার শিক্ষা-সহায়তা কার্যক্রম

চীনের সিনচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে মোট ৫৫ জন শিক্ষক রয়েছেন, তারা শানতুং প্রদেশের লিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থী। তারা ইন্টার্নশিপ শিক্ষক হিসেবে শানতুং থেকে সিনচিয়াংয়ে চলে আসেন এবং স্থানীয় স্কুলে শিক্ষাদান কাজে বড় দায়িত্ব পালন করেন। এ বছরের জুন মাসে তাদের স্নাতক অনুষ্ঠান ছিল, তবে সিনচিয়াংয়ে শিক্ষকতা কাজের জন্য ৫৫ জন ইন্টার্নশিপ শিক্ষক তাদের নিজের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন শিক্ষক প্রতিনিধি সিনচিয়াংয়ে এসে ৫৫ জন শিক্ষকের জন্য বিশেষ স্নাতক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। শিক্ষক লি ইউ না তাদের মধ্যে একজন, এ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি অশ্রুসিক্ত হন। বর্তমানে তিনি জন্মস্থানে ফিরে এসেছেন এবং সিনচিয়াংয়ে শিক্ষা-সহায়তার অভিজ্ঞতা তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। সিনচিয়াংয়ের শিক্ষাদান জীবন আর স্থানীয় বাচ্চাদের স্মরণ করে আরেকবার ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা করেন শিক্ষক লি।

কেন তাকলিমাকান মরুভূমি অতিক্রম করে সিনচিয়াংয়ের দক্ষিণাঞ্চলে শিক্ষাদানে কাজ করেন? এ সম্পর্কে শিক্ষক লি বলেন, কারণ স্থানীয় বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ২০১৮ সাল থেকে শিক্ষক লি'র মতো সহস্রাধিক যুব শিক্ষক সিনচিয়াংয়ে সহায়তার কাজ করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনচিয়াংয়ে ব্যাপকভাবে বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ভাষা প্রশিক্ষণ ও সংস্কার চালু হয়েছে। সেখানে আধুনিক শিক্ষা যন্ত্রপাতি ও গুণগতমানের পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করা হয়েছে। এর সাথে সাথে শিক্ষকদের গুণগতমান ও দক্ষতার চাহিদাও বেড়ে গেছে। এ সম্পর্কে সিনচিয়াংয়ে সহায়তা কার্যক্রমে শানতুং প্রদেশের কর্মকর্তা, কাশি শিক্ষা ব্যুরোর উপ-প্রধান ছুই শেং পিং বলেন, চীনের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চরম ও গভীর দরিদ্র এলাকা হিসেবে সিনচিয়াংয়ে দক্ষ ব্যক্তিদের আকর্ষণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর নতুন দক্ষ শিক্ষকের অভাব স্থানীয় শিক্ষা সংস্কার বাস্তবায়নের বড় বাধা।

২০১৮ সালের শুরুতে সিনচিয়াংয়ে শিক্ষা সহায়তার নতুন পদ্ধতি হিসেবে শানতুং প্রদেশের বিভিন্ন নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম চালু হয়। একবার এক সেমিস্টারে স্থানীয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পাঠানো হয়, যা কাশিতে শিক্ষকদের অভাব পূরণ করতে সক্ষম।

শানতুং প্রদেশের এসব ইন্টার্নশিপ শিক্ষকদের মান সম্পর্কে কাশি অঞ্চলের শুলে জেলার বা'ই মাধ্যমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট লিউ ছেং শান বলেন, কয়েকজন ইন্টার্নশিপ শিক্ষক অনেক ভালো কাজ করেছেন, আমি তাদের এখানে রেখে দিতে চাই। তারা যেন টাটকা রক্তের মতো পেশাদার শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তাদের কাজ করার আগ্রহও প্রচুর।

শিক্ষাদানের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের প্রশাসন, কমিউনিটির অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব পালন করেন এসব শিক্ষকরা। বা'ই স্কুলের ক্যাম্পাসের চার পাশের দেওয়াল ও অফিস ভবনের করিডোর চমত্কার চিত্রকলায় ভরপুর। এসব ছবি ইন্টার্নশিপ শিক্ষকদের উদ্যোগে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট লিউ আরো বলেন, ইন্টার্নশিপ হলো এসব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কোর্স, অতীতে শিক্ষার্থীরা শানতুং প্রদেশের স্কুলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ খুঁজতো। সিনচিয়াংয়ে শিক্ষা-সহায়তা কার্যক্রম চালু হবার পর শানতুংয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। নিজের উদ্যোগে নিবন্ধন করা, স্কুল নির্বাচনসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিনচিয়াংয়ের জন্য এসব শিক্ষকদের বাছাই করা হয়।

শানতুং জাওচুয়াং একাডেমির লি ছিয়ান হুই ইন্টার্নশিপ শিক্ষক হিসেবে বা'ই মাধ্যমিক স্কুলে ইংরেজি পড়ান।এ বছর তার একাডেমি থেকে মোট ২০১ জন স্নাতক সিনচিয়াংয়ে এসেছেন, তারা স্থানীয় অঞ্চলের ৮টি স্কুলে কাজ করছেন। যদিও অর্ধ বছর সময় খুব বেশি নয়, তবে এ শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতায় তাদের বিভিন্ন দক্ষতার সার্বিক চর্চা হয়েছে বলে মনে করেন লি। এ সম্পর্কে লি আরো বলেন, আমরা ২০১ জন ইন্টার্নশিপ শিক্ষক ৬০০টি ক্লাসের ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রীদের পড়াই। প্রতি সপ্তাহে মাথাপিছু ক্লাসের সংখ্যা ২০টিরও বেশি, যা আমাদের স্নাতক হওয়ার পর কর্মসংস্থানের জন্য অনেক সহায়ক। তাছাড়া, আমরা নিজস্বভাবে এখানে রান্না করি ও সুপারমার্কেট থেকে জিনিস কিনি, এতে কার্যকরভাবে বিভিন্ন দক্ষতার চর্চা হয়।

সেপ্টেম্বর মাসে নতুন দলের ইন্টার্নশিপ শিক্ষকরা শানতুং থেকে সিনচিয়াংয়ে আসবেন। তাদের প্রচেষ্টা দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের শিক্ষা উন্নয়নে নতুন চিন্তাভাবনা ও নতুন পদ্ধতি বয়ে আনবে বলে মনে করেন বা'ই স্কুলের প্রেসিডেন্ট লিউ।

প্রিয় শ্রোতা, সময় দ্রুত চলে যায়। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানও এখানেই শেষ করতে হবে। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে কোনো মতামত থাকলে আমাদের চিঠি লিখতে ভুলবেন না। আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn,caoyanhua@cri.com.cn

সময় মতো আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে না পারলে বা শুনতে মিস করলে আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারবেন। ওয়েবসাইটের ঠিকানা: www.bengali.cri.cn

তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, থাকুন সুন্দর ও আনন্দে। আগামী সপ্তাহের একই দিনে একই সময়ে আবারো কথা হবে। যাই চিয়ান। (সুবর্ণা/টুটুল/মুক্তা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040