'যুক্তরাষ্ট্রে ওপিঅয়েডের অপব্যবহারকে চীন-মার্কিন বাণিজ্য-সংঘাতের ফল বলা অগ্রহণযোগ্য'
  2019-08-19 15:10:44  cri
অগাস্ট ১৯: সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের স্টেটস্‌ টাইমসের সাবেক প্রধান সম্পাদক লিসলিয়ে ফং 'শুল্ক, ওপিঅয়েডস্‌ ও ওপিয়ামের মধ্যকার অদ্ভুত সম্পর্ক' শীর্ষক এক প্রবন্ধে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ওপিঅয়েডের অপব্যবহারের সংকটকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য-সংঘাতের ফল হিসেবে তুলে ধরেছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রবন্ধে তিনি বলেন, সারা বিশ্ব চীন-যুক্তরাষ্ট্র নতুন দফা বাণিজ্য-সংলাপের দিকে যখন তাকিয়ে ছিল, ঠিক তখন ট্রাম্প পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চীনের ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানি-পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। চীন ফেন্টানিল নামক ওপিঅয়েড যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বন্ধ করেনি—এই অজুহাতে শুল্ক আরোপের কথা বলা হচ্ছে। অথচ এ অভিযোগ যুক্তিহীন। এটা যদি সংলাপে সুবিধালাভের কৌশল হয়, তবে তা কাজ করবে না। ট্রাম্পের উক্ত ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের শতাধিক কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

প্রবন্ধে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ওপিঅয়েডস সংকটের প্রাথমিক কারণ, সংশ্লিষ্ট ঔষধ কোম্পানি এ ধরণের ঔষধের নেশা-সৃষ্টিকারী ক্ষমতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত সতর্কতা জারি করেনি। এমনকি, চিকিত্সকদের এ ধরণের ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করতে উত্সাহ দিয়েছে কোম্পানিগুলো। দেশজুড়ে ওপিয়ডের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও এর কুফল ঠেকাতে না-পেরে মার্কিন সরকার এটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে নেশায় আক্রান্ত লোকজন ওপিঅয়েডের পরিবর্তে ফেন্টালিনসহ অন্যান্য ব্যথানাশক ঔষধের দিকে ঝুকে পড়ে। ছোট প্যাকেটে ফেন্টানিল যে-কোনো দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সম্ভব।

প্রবন্ধে লিসলিয়ে ফং আরও বলেন, ওপিঅয়েডের অপব্যবহারের সংকটের জন্য চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য-সংঘাতকে দায়ী করার কোনো যুক্তি নেই। বস্তুত, চীন ফেন্টানিল বিষয়ে পর্যাপ্ত কাজ করেছে। (রুবি/আলিম/শিশির)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040