আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন 'রোববারের আলাপন'। আপনাদের সঙ্গে আছি এনামুল হক টুটুল এবং শিয়েনান আকাশ।
টুটুল: বন্ধুরা, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে স্বীকার করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনা। সম্প্রতি শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এডিস মশা নির্মূল করা হবে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোয় এডিশ মশার প্রজনন বেশি হয় উল্লেখ করে মেয়র মশা নির্মূলে মালিকদের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। তা না হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করেন সাঈদ খোকন।
এদিকে, ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সম্প্রতি সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ঢাকার দুই সিটি মেয়রকে এ বিষয়ে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৪ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা বলেছেন, তার সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের বাইরে থাকলেও তিনি প্রতিনিয়ত দেশের খোঁজখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনামূল্যে করে দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে যারা দেশের ক্ষতি করে তাদের বিষয়ে সচেতন থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আকাশ: বন্ধুরা, ডেঙ্গু সংশ্লিষ্ট আরেকটি খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। রাজধানী ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩ অগাস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২২,৯১৯ জনে। ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অর্ধশতাধিক। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ঢাকার বহিঃঅঞ্চলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। এই রোগীরা ঢাকা থাকাকালে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এদিকে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটি কাটাতে যাবেন। তখন ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর রাশিদ-ই মাহবুব বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিত্সার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ডেঙ্গু ভাইরাসের উত্স—এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বিভিন্ন জেলা ও থানার চিকিত্সক ও নার্সদের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিত্সার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
টুটুল ভাই, খবর শুনে আমি অনেক চিন্তিত। বাংলাদেশে থাকার সময় আমি নিজেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমি জানি এ রোগ কতো মারাত্মক। ভাই, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে বলে তুমি মনে করো?
টুটুল: জ্বর হওয়া, অতিরিক্ত মাথা ব্যথা, চোখের চারপাশে ব্যথা, পেশিতে ও হাড়ের গিটে ব্যথা, বমি ও বমি বমি ভাব, ত্বকে লাল ছোপ ছোপ দাগ, নাক থেকে রক্তপাত ইত্যাদি হচ্ছে ডেঙ্গুর উপসর্গ। ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম ১০ দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলি দেখা যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগে শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ।
ডেঙ্গুর চিকিৎসা: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা দরকার। ডাক্তারের দেওয়া টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিৎ। নিজে থেকে ঔষুধ খাওয়া উচিৎ নয়। অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষুধ খাওয়া উচিৎ নয়, এগুলি রক্তকে পাতলা করে দেয়।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়: ঘিঞ্জি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় না থাকার চেষ্টা করুন। বাড়িতে মশারি, মশা তাড়ানোর ঔষধ ব্যবহার করুন। বাইরে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা ব্যবহার করুন। মোজা পরুন। জানালায় নেট লাগান অথবা দরজা জানালা বন্ধ করে রাখুন। এয়ারকন্ডিশন থাকলে ব্যবহার করুন। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান। দিনের বেলা ও সন্ধ্যার সময় ডেঙ্গু মশা কামড়ায়, এ সময়টা অতিরিক্ত সাবধান থাকুন।
ডেঙ্গু রোগীর যত্ন: তরল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিৎ; যেমন- পরিষ্কার পানি, আখের রস, ডাবের পানি, লেবুর পানি, গ্রীন টি, কমলালেবুর রস ইত্যাদি। দুগ্ধজাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিৎ। নিরামিষাশীদের জন্য শাকসবজি ও ফল খাওয়া দরকার। তেল মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সঠিক পরিমাণ প্রোটিন খান। মাছ, মাংস, ডিম এবং সয়াবিন, চিস,পনির জাতীয় খাবার খান।
আকাশ: বন্ধুরা, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য দয়া করে সবাই সাবধানে থাকুন।
টুটুল: মনে রাখতে হবে, ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাক্সিন নেই। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাস চার টাইপের, তাই চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধে কাজ করে, এমন ভ্যাক্সিন এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে এডিস একটি ভদ্র মশা, অভিজাত এলাকায় বড়ো বড়ো সুন্দর সুন্দর দালানকোঠায় এরা বসবাস করে থাকে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিশ মশা প্রতিরোধ করা। আগেই বলেছি, এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে রাত্রে উজ্জ্বল আলোতেও এডিস মশা কামড়াতে পারে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমা হয়ে থাকে, তাই সবার আগে ঘরে সাজানো ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, বাড়িঘরে এবং বাড়ির আশপাশে যেকোনো পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা পানি ৩ থেকে ৫ দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মারা যায়। পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো পানি ৫ দিনের বেশি যেন না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ঘরের এ্যাকুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা পানির ট্যাংকে যেন পানি জমে না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির ছাদে অনেকেই বাগান করে থাকেন। সেখানে টবে বা পাত্রে যেন কোনো ধরণের পানি ৫ দিনের বেশি জমে না থাকে সেদিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাড়ির আশ-পাশে ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আকাশ: বন্ধুরা, আশা করি এসব তথ্য সবার জন্য সহায়ক হবে। সবসময় সাবধানে থাকবেন এবং নিজেকে ও পরিবারকে এডিস মশা থেকে রক্ষা করবেন।
টুটুল:...
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, চীনের নারী ভলিবল দলের ক্যাপ্টেন চু থিং এ বছরের মে মাসের শুরুতে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি কিছুদিন বিশ্রামের পর দলের খেলোয়াড়দের সাথে বিশ্ব নারী ভলিবল লিগ ২০১৯-এ অংশ নেন । তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে তাঁর তুরস্কের লিগ ম্যাচ খেলার অনুভূতি শেয়ার করেন। আজ আমরা তাঁর এ গল্প শুনবো, কেমন?
টুটুল: ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি তুরস্ক যান। ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর মাঝখানে তিনি তুরস্কের নারী ভলিবল ক্লাব ভাকিফ ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাবে অংশ নেন। এই দলের হয়ে তিনি তুরস্কের সুপার কাপ, তুরস্ক কাপ, তুরস্কের সুপার লিগ, ইউরো চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং ভালো পারফরমেন্স করেন। তিনি ৬বার এমভিপি (সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়) উপাধি অর্জন করেন। তিনি মনে করেন, তুরস্কের এ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি অনেক কিছু অর্জন করেছেন। তিনি বলেন,
আকাশ: তুরস্কে আসার পর তাঁদের প্রশিক্ষণ ও খেলা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। তাদের ক্লাবে উচ্চমানের খেলোয়াড় অনেক। তাদের প্রশিক্ষণ বা খেলার অনেক ভালো উপায় আমি শিখেছি।এসব উপায় নিজেকে উন্নত করতে অনেক সহায়ক। জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সব জিনিস নিজেকে করতে হয়েছে। নিজে রান্না করি, নিজে গাড়ি চালিয়ে প্রশিক্ষণে যাই, সব নিজেকে করতে হয়। এখন আমি মনে করি, ওই পরিবেশের সাথে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি এবং এ প্রক্রিয়াকে উপভোগ করেছি। যখন সময় পাই তখন কিছু বই পড়ি, নিজেকে উন্নত করি।
টুটুল: তুরস্কের এ তিন বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর মধ্যে কি কি পরিবর্তন বয়ে এনেছে? তা চু থিংয়ের 'মহা ভক্ত' বলতে পারবেন। চু থিংয়ের মহা ভক্ত হিসেবে, রুয়ান লিং সাংবাদিককে বলেন,
আকাশ: আমি মনে করি তাঁর পরিবর্তন হচ্ছে নেতৃত্বের দক্ষতা। তিনি আগে খেলার সময় খুব চুপ থাকতেন, কথা বলতেন না, সাংবাদিকদের ক্যামেরাও এড়িয়ে চলতেন, এমনকি তাঁকে দেখতেও খুব লাজুক মনে হতো। কিন্তু তুরস্ক থেকে ফিরে আসার পর তিনি সাংবাদিকদের সামনে এখন ভালোভাবে কথা বলেন। তা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
টুটুল: জিয়োভান্নি গুয়েদেত্তি হলেন তুরস্কের নারী ভলিবল ক্লাব ভাকিফ ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাবের কোচ। তাঁর চোখে চু থিং হচ্ছেন একজন চমত্কার ভলিবল খেলোয়াড়। চু থিংয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন,
আকাশ: চু থিংকে আমার অনেক ভাল লাগে। ভাকিফ ব্যাংক ক্লাবের দলটিতে তাঁর পারফরমেন্স বিস্ময়কর। তাঁর কোচ হিসেবে আমি অনেক সম্মান বোধ করি। আশা করি আমি ভবিষ্যতেও তাঁর কোচ হওয়ার সুযোগ পাবো।"
টুটুল: চু থিং মনে করেন, সবাই সাহায্য করার কারণে তিনি ভালো পারফরমেন্স করতে পারেন। তিনি ভলিবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
আকাশ: আমি ভলিবল পছন্দ করি। ভলিবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। এখানকার সব অর্জন, ফুল, সবার প্রশংসা এসব কিছু ভলিবল আমার জীবনে বয়ে এনেছে। আমার জীবনে ভলিবল অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
টুটুল: তিনি আরো বলেন, আসলে ভলিবল খেলোয়াড়ের সমাজের বৃত্ত বেশি বড় না। এজন্য বিদেশে গিয়ে উচ্চ মানের খেলোয়াড়দের সাথে আদান-প্রদান এবং পরস্পরের কাছ থেকে শেখা হচ্ছে নিজেকে উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তিনি বলেন,
আকাশ: বিদেশে গিয়ে অনেক জিনিস চোখে পড়ে। আমি মনে করি সবার সাথে আদান-প্রদান করতে পারলে নিজেকে আরো উন্নত করা যাবে।
টুটুল: বিগত ৩ বছরে চু থিং তুরস্কের সমাজ ও জনগণের সাথে মিশতে মিশতে সবকিছুর প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেন। তিনি বলেন,
আকাশ: আমার আবাসিক এলাকায় সিকিউরিটি গার্ড আছে, তাদের সাথে কথা বলার সময়, আবাসিক এলাকার কিছু বাসিন্দা যারা ইংরেজি বলতে পারেন, তারা আমাকে সবসময় সাহায্য করতেন। সবকিছুকে আপন মনে হতো। কখনো কখনো রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় ওয়েটার আমাকে জিজ্ঞাস করতো, আপনি কি করেন? আমি বলতাম, আমি ভাকিফ ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাবের ভলিবল খেলোয়াড়। যদি সে ওই ক্লাবের ভক্ত হতো, তাহলে আমাকে ফ্রি চা, ফল, জুস, কফি ইত্যাদি দিতো। এ ধরনের অভিজ্ঞতা অনেক মজার।
টুটুল: ভবিষ্যত আবার বিদেশে ভলিবলদলে খেলার পরিকল্পনা নিয়ে চু থিং জানান, তিনি তুরস্কে যেতে চান। কারণ তুরস্কের লিগ ও সমাজ ইতোমধ্যে তার কাছে অনেক পরিচিত। এজন্য আবার তুরস্ক বাছাই করার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন,
আকাশ: আমার মনে হয়, সম্ভবত আমি একটি পরিচিত জায়গায় যাবো। সম্ভবত আবার তুরস্কে যাবো।
বন্ধুরা, আমি আশা করি চু থিং তাঁর ভলিবল জীবনে আরো বেশি অগ্রগতি অর্জন করবেন, আনন্দ পাবেন। আশা করি তাঁর জীবন আরো সুন্দর হোক। এর পাশাপাশি আমি আরো আশা করি আমাদের বন্ধুরাও যেন নিজেদের পছন্দের চাকরি, পছন্দের কাজ করতে পারেন। আমাদের বন্ধুদের জীবন অনেক আনন্দের হোক, সেই প্রত্যাশা আমাদের।
আমি এক ডকুমেন্টারিতে একটি কথা শুনেছি। বন্ধুদের সাথে এখন তা শেয়ার করতে চাই, তা হচ্ছে, "যখন আমার দৌড়ানোর ক্ষমতা আছে, তখন আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে দৌড়াবো"।
টুটুল:…
আকাশ: আচ্ছা, বন্ধুরা, এখন আমরা খেলাধুলার অন্যকিছু খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, গত সপ্তাহের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি একটি গানের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছি, মনে আছে? এখন এ গান আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এই গানটি চীনের রক ব্যান্ড 'মে ডে'র একটি গান।এটি হচ্ছে'মে ডে'র প্রথম অ্যালবামের প্রথম গান ।
টুটুল: তাইনা কি? প্রথম অ্যালবামের প্রথম গান! শুরুর শুরু!
আকাশ: হ্যাঁ। ভাই। গানের নাম হচ্ছে 'ক্রেজি ওয়ার্ল্ড'।
টুটুল: গানের কথা প্রায় এমন,
ক্রেজি ওয়ার্ল্ড
যদি বলি, আমি অনুতাপ করি, তাহলে কি সব কিছু ফিরে আসতে পারবে?
স্মৃতি এতো সুন্দর, জীবনযাপন এতো বেদনাদায়ক
কেন এই পৃথিবী মানুষকে সবসময় আঘাত এবং দু:খ দেয়,
আমি বুঝতে পারি না, এবং আমি বুঝতে চাই না
আমি সত্যিই চাই, আমি সত্যিই উড়ে যেতে চাই, এই ক্রেজি পৃথিবী থেকে পালাতে চাই
এত তিক্ততা, এত ক্লান্তি, এত অশ্রু
আমি সত্যিই চাই, আমি সত্যিই উড়ে যেতে চাই, এই ক্রেজি পৃথিবী থেকে পালাতে চাই
যদি তুমি আমাকে আবিষ্কার করো, তাহলে আমাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করোনা
আমি সারা রাত তোমার কথা ভেবেছি, কিন্তু তোমার মুখ মনে করতে পারছি না
তুমি এক ধরনের অনুভূতি, গ্রীষ্মের রাতের বাতাসে লিখিত
যৌবন পানি বয়ে যাওয়ার মতো, চোখের পলকে এটি অদৃশ্য হয়ে যায়।
ব্যাপকভাবে নষ্ট করতে থাকি, তারপর ব্যাপকভাবে অনুশোচনা করি
আমি সত্যিই চাই, আমি সত্যিই উড়ে যেতে চাই, এই ক্রেজি পৃথিবী থেকে পালাতে চাই
এত তিক্ততা, এত ক্লান্তি, এত অশ্রু
আমি সত্যিই চাই, আমি সত্যিই উড়ে যেতে চাই, এই ক্রেজি পৃথিবী থেকে পালাতে চাই
যদি তুমি আমাকে আবিষ্কার করো, তাহলে আমাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করোনা।