১. যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অর্থমন্ত্রী লরেন্স সামারস ও কয়েকজন মার্কিন অর্থনীতিবিদ বলেছেন, চীন মুদ্রার বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রণ করছে বলে কোনো প্রমাণ নেই। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৫ অগাস্ট চীনকে 'বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রক' হিসেবে চিহ্নিত করার পর তাঁরা এ মন্তব্য করলেন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টে স্বনামে লিখিত এক নিবন্ধে সামার্স মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা-বাজারের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে চীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বাস্তবতা উপেক্ষা করে চীনকে 'বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রক' হিসেবে চিহ্নিত করায়, মার্কিন অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভামমূর্তি নষ্ট হবে। এ ধরনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন সরকার সাম্প্রতিক কালে চীনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করছে এবং একতরফা অন্যায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন অর্থনীতির ওপর এর কুপ্রভাব পড়ছে। বিনিয়োগকারীরা স্টক বাজারে বিনিয়োগ না-করে স্বর্ণ ও ঋণপত্রের মতো নিরাপদ খাতে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এদিকে, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ২০০৮ সালের অর্থ-সংকটের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদও চীনকে 'মুদ্রার বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রক' হিসেবে চিহ্নিত করতে নারাজ। মার্কিন থিঙ্কথ্যাঙ্ক 'পিটার্সন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ইন্সটিটিউট'-এর সিনিয়র গবেষক ও অনারারি মহাপরিচালক সি ফ্রেড বার্গস্টেন বলেছেন, চীন বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রণ করে বলে যে-অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। বাজারের স্বাভাবিক নিয়মেই মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনা মুদ্রা রেনমিনপি'র মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
২. এদিকে, চীনের গণব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেন, একতরফাবাদ, বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদ ও চীনের রফতানি-পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপসহ নানান কারণে মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনা মুদ্রা রেনমিনপি বা ইউয়ানের মান কমে গেছে। তবে, অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে রেনমিনপি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী আছে। আর মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেনমিনপি বর্তমানে খানিকটা দুর্বল হলেও, মনে রাখতে হবে যে, গত ২০ বছরে রেনমিনপির মূল্য মার্কিন ডলারের বিপরীতে ২০ শতাংশ বেড়েছে। রেনমিনপির বিনিময়-হার সঠিক পর্যায়ে রাখতে সক্ষম চীন।
তিনি বলেন, সামষ্টিক দিক দিয়ে বর্তমানে চীনের অর্থনীতির অবস্থা ভালো। এদিকে, দেশে অর্থনৈতিক কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে ও ব্যাংকিং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসবই রেনমিনপি'র বিনিময়-হার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ চীনের মূলনীতি। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় প্রশাসন এই নীতিতে পরিচালিত হয়। ডলারের মূল্য ৭ ইউয়ান ছাড়ালেও এই নীতিতে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
৩. চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমেরিকান ফার্ম ব্যুরো ফেডারেশান গত ৫ অগাস্ট এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চীনের ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এর জবাবে, চীনের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমেরিকান কৃষিপণ্য ক্রয় স্থগিত রেখেছে।
৪. চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীনের সেবাবাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ২৪৬ কোটি ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৬ শতাংশ বেশি। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেবাবাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাপরিচালক চু কুয়াং ইয়াও সম্প্রতি বেইজিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বছরের প্রথমার্ধে চীনের সেবাবাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মোট বাণিজের ১৫.৫ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৫ শতাংশ বেশি। সেবামূলক রফতানি আমদানির তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫. চীনের জেডটিই কর্পোরেশান গত সোমবার থেকে ৫জি স্মার্টফোন বিক্রি শুরু করে। এই প্রথম চীনের বাজারে স্মার্টফোন ছাড়া হলো। নয়া ফোনটি চায়না মোবাইল, চায়না টেলিকম ও চায়না ইউনিকমের ৫জি ফ্রিকোয়েন্স সাপোর্ট করবে। ফোনটির স্ক্রিন ৬.৪৭ ইঞ্জির। এর মূল ক্যামেরা ৪৮ মেগা পিক্সেলের। মোট তিনটি ক্যামেরা আছে ফোনটিতে। ফোনটির দাম ৪,৯৯৯ ইউয়ান (৭২২ মার্কিন ডলার)।
৬. চীনে স্বর্ণের ভোগ কমেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৫২৩.৫৪ টন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩.২৭ শতাংশ কম।
বছরের প্রথম ছয় মাসে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি হয়েছে ৩৫৮.৭৭ টন, যা অবশ্য গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৯৭ শতাংশ বেশি। তবে বছরের প্রথমার্ধে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণের কয়েন বিক্রির পরিমান ছিল যথাক্রমে ১১০.৫১ টন ও ২.৯ টন, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যথাক্রমে ১৭.২৯ ও ২৯.২৭ শতাংশ কম।
৭. মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি আকস্মিক এক ঘোষণায় বলেন, আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চীনের আরও ৩০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানি-পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে, দেশটির বিভিন্ন মহল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্তের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। আর এতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দেবে।
মার্কিন বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে বিশ্ব অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে। বাণিজ্যিক যুদ্ধ বাড়লে বিশ্ব অর্থনীতির অবনতির আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
ব্লুমবার্গ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ কর্মকাণ্ডের অর্থ বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনৈতিক সত্ত্বার মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া।
এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি গণমাধ্যম বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শিল্পমহলের ক্রোধের কারণ হবে। তারা বাণিজ্যিক যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। মার্কিন সরকারের শুল্ক আরোপের ফলে দেশটির বিশ্বব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাশক্তি কমে যাবে বলেও তাদের ধারণা।
৮. সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অভিযোগ করেন যে, মার্কিন কৃষিপণ্য কেনার ব্যাপারে চীনের কোনো পদক্ষেণ নেই। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা বলেছেন চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের মহাসচিব ছং লিয়াং।
তিনি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদ্বয়ের ওসাকা বৈঠকের পর চীন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ক্রয়ে আন্তরিকতা দেখিয়েছে। ওসাকা বৈঠকের পর, গত জুলাই মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত ২২ লাখ ৭০ হাজার টন মার্কিন সয়াবিন আমদানি করেছে চীন। আর চলতি অগাস্ট মাসে ২০ লাখ টন সয়াবিন আসবে। মার্কিন পণ্যের ভালো দাম ও পণ্যের মান ভালো হলে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি ক্রয় করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
৯. এর আগে, চীন-মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের দ্বাদশ বাণিজ্যিক আলোচনা সম্প্রতি শাংহাইয়ে শেষ হয়। দুদিনের আলোচনায়, দু'দেশের নেতৃবৃন্দের ওসাকা মতৈক্য অনুসারে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ইস্যু নিয়ে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেছে দু'পক্ষ। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, চীন দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী মার্কিন কৃষিপণ্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়াবে এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে। উভয় পক্ষই সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী দফা উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।
১০. সম্প্রতি চীন ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমের একটি যৌথ প্রতিনিধিদল চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের বৃহত্তম কাঠামোগত প্রকল্প 'পেশাওয়ার-করাচি রাজপথ'-এর সুকার-মুলতান অংশ (পিকেএম) পরিদর্শন করে। এসময় পাক গণমাধ্যমকর্মীরা এই প্রকল্পের প্রশংসা করে বলেন, এটি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পিকেএম-এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চীনা কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন জানায়, সুকার-মুলতান অংশ (পিকেএম)-এর দৈর্ঘ্য ৩৯২ কিলোমিটার। এ প্রকল্প পাকিস্তানের পরিবহন-ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করবে।
পাকিস্তান নিউজ পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ওবায়েদ আব্রার বলেন, পিকেএম অংশের মাধ্যমে মুলতান ও সুকার শহর দু'টির মধ্যে যাতায়াতের সময় ব্যাপকভাবে কমে যাবে। যার ফলে স্থানীয়দের জীবনমান উন্নত হবে।
১১. যুক্তরাষ্ট্র যে ভেনেজুলার ওপর সার্বিক অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করেছে, তার তীব্র নিন্দা জানায় ভেনেজুয়েলার সরকার। মঙ্গলবার ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ হচ্ছে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ, যা ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি ও সমাজের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এ কর্মকান্ডের লক্ষ্য হচ্ছে ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির অবনতি ঘটিয়ে ক্ষমতার পালাবদল ঘটানো, যা 'জাতিসংঘ সনদ'-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশটির সকল নাগরিক অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবে।
এদিকে, ভেনেজুয়েলার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডেলসি রডরিগেজ বলেছেন, মার্কিন অবরোধে ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে। এখন যে-দেশেরই যুক্তরাষ্ট্রে সম্পত্তি রয়েছে, সে-দেশই অনিরাপদ বোধ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের বৈধ সম্পত্তিকে নিজের স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
১২. দক্ষিণ কোরিয়াকে বাণিজ্যের 'সাদা তালিকা' থেকে বাদ দিয়েছে জাপান। সম্প্রতি জাপানি মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য-সংঘাত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়াকে বাদ দেওয়ার পর এখন জাপান সরকারের 'সাদা তালিকায়' আছে মোট ২৭টি দেশ। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ও জার্মানি রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়াকে ২০০৪ সালে সাদা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন তালিকা থেকে বাদ পড়ায়, দক্ষিণ কোরিয়া জাপানের সঙ্গে বাণিজ্যে বিশেষ সুবিধা পাবে না।
কোরীয় সরকার এর আগে বেশ কয়েকবার জাপান সরকারের প্রতি 'সাদা তালিকা' থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাদ না-দেওয়ার অনুরোধ জানায়। সাদা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ফলে, দক্ষিণ কোরিয়ার এক হাজারের বেশি রফতানি-পণ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে, গাড়ি, মোবাইলসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প-পণ্য।
(আলিমুল হক)