সম্প্রতি মার্কিন সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে একতরফা নীতির কারণে চীনের সাথে বাণিজ্যিক সংঘাত শুরু করে। এতে বিশ্বের আর্থিক বাজারের অস্থিতিশীলতা গুরুতর হয়। আরএমবি'র বিনিময় হারে বাজার সরবরাহ চাহিদার ভিত্তিতে নমনীয়তা বেড়েছে, ফলে চীনকে 'মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রক' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, এমন আত্মবিরোধী মন্তব্য অবিশ্বাস্য।
অন্যদিকে গত এক বছরের মধ্যে মার্কিন ডলারের মূল্যহ্রাসের উদ্দেশ্যে বহুবারের মতো সুদ কমিয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ, গত ৩১ জুলাই আবার সুদ হ্রাসের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সম্পর্কে সংস্থার চারজন সাবেক চেয়ারম্যান পল ভলকার, আলান গ্রিনস্পান, বেন বার্নানক এবং জ্যানেত ইয়েলেন সম্প্রতি 'ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে' প্রকাশিত নিবন্ধে জানিয়েছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে একটি স্বাধীন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ দরকার', যাতে স্বল্পকালীন রাজনৈতিক প্রভাব মার্কিন মুদ্রা নীতির ওপর প্রভাব ফেলতে না পারে।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে বরাবরই জি-টোয়েন্টি শীর্ষসম্মেলনে মুদ্রা বিনিময় হারের সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি মেনে চলে। কখনো বাণিজ্য সংকট মোকাবিলায় মুদ্রা বিনিময় হার প্রয়োগ করে না চীন। চলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানি পরিমাণ ২৫.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় চীনা পণ্যদ্রব্যের রপ্তানি অপরিবর্তনীয়।
তাছাড়া, চীনের অর্থনীতি দ্রুতগতির বৃদ্ধি থেকে গুণগতমান উন্নয়নে রূপান্তরিত হয়েছে। চীনের অর্থনীতিতে অভ্যন্তরীণ চাহিদার উত্সাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই আন্তর্জাতিক সমাজের সন্দেহের ঝুঁকিতে রপ্তানি পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুদ্রা বিনিময় হার অপব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
মোদ্দাকথায় আরএমবি'র মূল্যহ্রাস চীনের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। মার্কিন পক্ষের তথাকথিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও হাস্যকর। তা চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম নয়, বরং আন্তর্জাতিক সমাজে যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষতি করবে। (সুবর্ণা/টুটুল/মুক্তা)