সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু লোক চীনের বিরুদ্ধে ডলার-ইউয়ান বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে চাপ প্রয়োগ করতে ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এটা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। এ ধরনের আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের নিজের জন্যও ক্ষতিকর।
ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, 'বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রন'-এর অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে চাপে ফেলা যুক্তরাষ্ট্রের পুরাতন কৌশল। গত শতাব্দির ৮০-র দশকে জাপান নবোত্থিত বাণিজ্যিক দেশে পরিণত হয়। তখন তাকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জাপান, জার্মান, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর ফলস্বরূপ পরের ২০ বছরে জাপানের অর্থনীতির অবনতি ঘটে।
সম্পদাকীয়তে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছেমতো একতরফানীতি চাপিয়ে দেয়। যার ফলে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সংঘাত বৃদ্ধি পায়। বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে রেনমিনপি'র বিনিময়-হার ওঠানামা করে। এটাই স্বাভাবিক। বাজারের স্বাভাবিক নিয়মেই মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেনমিনপির মূল্য সম্প্রতি ৭ ইউয়ান ছাড়িয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু লোক এ কারণে, অযৌক্তিকভাবে, চীনকে 'বিনিময়-হার নিয়ন্ত্রক' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। (রুবি/আলিম/আকাশ)