গত মে মাসে 'এশীয় সভ্যতা সংলাপ' বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। নাইজেরিয়ান সাহিত্য ও শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ নেন। নাইজেরিয়ার জাতীয় শিল্প ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ওতুনবা সেগুনও এশীয় সভ্যতা সম্মেলনে যোগ দেন। দেশে ফিরে যাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন উপলক্ষ্যে এশিয়ান সভ্যতা সংলাপ সম্মেলনের ফলাফল তুলে ধরেন এবং চীনের "সভ্যতা বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষা, যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা" ধারণার প্রশংসা করেন। ওতুনবা সেগুন এশীয় সভ্যতা সংলাপের 'সংস্কৃতি, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়' ফোরামে অংশ নেন। তিনি মনে করেন, এবারের সম্মেলন এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সভ্যতা সংলাপের ওপর গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন,
"এটা স্পষ্ট যে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলকে বিভিন্ন সভ্যতাকে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেইজিংয়ের এশিয়ান সভ্যতা সংলাপ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময়, আমি চীন সরকারকে বিভিন্ন দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জোরালো মনোভাব অনুভব করি। অতএব, এই সফর আমাকে খুব প্রভাবিত করে। সম্মেলনটি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংহতির ধারণা তুলে ধরে।"
নাইজেরিয়ান মিডিয়ার সাক্ষাত্কারে ওতুনবা সেগুন অনেকবার বলেন,
"প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, বিভিন্ন সভ্যতা বিশ্বকে আরো রঙিন করে তোলে। এশিয়ান সভ্যতা সংলাপ সম্মেলন বিভিন্ন এশিয়ান দেশে বিভিন্ন রঙয়ের সভ্যতার মধ্যে সংলাপের সুযোগ করে দেয়। আমরা যে সভ্যতার কথা বলছি তার রং চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে, এশিয়া ছাড়িয়ে গেছে এবং আফ্রিকার প্রতিটি অংশ অতিক্রম করছে। বিশ্বের প্রতিটি অংশের নিজস্ব রঙিন সভ্যতা সংজ্ঞায়িত করার নিজস্ব উপায় রয়েছে।"
"এশিয়ান সভ্যতা সংলাপ সম্মেলন ২০১৯ বেইজিং সমঝোতা" পেশ করেছে। এতে বিভিন্ন সভ্যতার একে-অপরের সম্মান এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করা উচিত। নাইজেরিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত চৌ ভিং চিয়েনকে লেখা এক ধন্যবাদমূলক চিঠিতে ওতুনবা সেগুন বলেন, এশীয় সভ্যতা সংলাপ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য চীন সরকারের আমন্ত্রণ পাওয়ায় আমি অত্যন্ত সম্মানিত। এই অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক উপকৃত করেছে এবং তা অবিস্মরণীয়। দীর্ঘদিন ধরে, নাইজেরিয়া ও চীন শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ ও পারস্পরিক উপকারী কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় বজায় রেখেছে। নাইজেরিয়ার জাতীয় শিল্প এবং সংস্কৃতি কমিটি উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে, দু'দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা বিকশিত হবে।