সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গত এক বছরেরও বেশি চীন-যুক্তরাষ্ট্র আর্থ-বাণিজ্যিক সংলাপ সারসংকলন করে জানা যায়, একপাশে সংলাপ অন্য পাশে চাপে ফেলানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ পদ্ধতি। তবে বাস্তবতা প্রমাণ করে যে, এ পদ্ধতি চীনের ওপর কাজ করে নি। বরং তাতে সংলাপ পুনরায় শুরুর সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা সমস্যা ও সংঘাত সমাধানের জন্য অনুকূল নয়।
যুক্তরাষ্ট্র আবার শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করে, তা সঠিক পথ থেকে দূরে দাঁড়িয়েছে। তবে চীন নিজের প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে। দু'দেশের প্রেসিডেন্টদ্বয়ের ওসাকা মতৈক্য বাস্তবায়ন করে আসছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে কৃষিপণ্য আমদানির বিষয়ে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, তা অযৌক্তিক। গত ১৯ জুলাই থেকে, চীনের বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান সয়াবিন ও কার্পাসসহ নানা কৃষিপণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকারীদের কাছে দাম সংগ্রহ করেছে এবং ইতোমধ্যেই ১৩০ হাজার টন সয়াবিনসহ অনেক কৃষিপণ্য ক্রয় করেছে। বর্তমানে সে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে সে পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ প্রত্যাখ্যানের জন্য আবেদন করেছে। সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনার প্রক্রিয়া চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াকে সময় দেয়া।
গত দীর্ঘ সময় ধরে এটা প্রমাণিত যে, বাণিজ্য যুদ্ধে কোনো বিজয়ী নেই। শুল্ক আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট উদ্বেগ মেটাতে পারে না, তা কেবল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র, এমন কি বিশ্ব স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। (রুবি/টুটুল/সুবর্ণা)