২০১৫ সাল থেকে 'চীনা প্রাকৃতিক অক্সিজেন' কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে ৬৪টি এলাকা 'প্রাকৃতিক অক্সিজেনের' মর্যাদা পায়। এসব এলাকার বায়ুর মান অনেক ভালো। চীনা জলবায়ু ব্যুরোর গণ জলবায়ু সেবা কেন্দ্রের আবহাওয়া অ্যাপ্লিকেশন কার্যালয়ের পরিচালক চাও ফান এ সম্পর্কে বলেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি মানদন্ড আছে। প্রতি বর্গমিটারে এক হাজারের বেশি অক্সিজেন আয়নসমৃদ্ধ হলে বলা চলে সেখানকার বায়ু পরিষ্কার। আমাদের ৬৪টি 'প্রাকৃতিক অক্সিজেন' এলাকার ৪৪ শতাংশ জায়গার প্রতি বর্গমিটারে আছে ৩ হাজারেরও বেশি অক্সিজেন আয়ন।"
২০১৮ সালের মার্চ মাসে চীনা রাষ্ট্রীয় পরিষদের সাধারণ অফিসের প্রকাশিত 'সমগ্র ভূখন্ডে পর্যটন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে নির্দেশনা'-য় স্পষ্টভাবে 'প্রাকৃতিক অক্সিজেন এলাকা' ধারণাকে চীনা পর্যটন উন্নয়নের পরিকল্পনায় অন্তভুর্ক্ত করা হয়। চীনা জলবায়ু ব্যুরোর সাবেক উপপরিচালক স্যু সিয়াও ফেং বলেন, চীনা প্রাকৃতিক অক্সিজেন এলাকা পরিকল্পনা হলো জলবায়ু বিভাগ পর্যটন ও স্বাস্থ্য সেবাসহ সবুজায়ন শিল্পের সহায়ক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, "আমরা আশা করি, জলবায়ু সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামে পর্যটন উন্নত হবে। এতে কৃষিপণ্যের জন্য অতিরিক্ত মুনাফা পাবে কৃষকরা।"
চীনা জলবায়ু গণ আবহাওয়া সেবা কেন্দ্রের পরিচালক ও চীনা জলবায়ু সেবা সমিতির চেয়ারম্যান সুন জিয়ান বলেন, "চীনা প্রাকৃতিক অক্সিজেন এলাকাগুলোর ব্যাপক বন হলো আমাদের বড় সম্পদ। সবুজ পাহাড় ও পানিকে 'স্বর্ণ' ও 'রুপা'-র মতো কাজে লাগানো জলবায়ু বিভাগের গবেষণা ও অনুসন্ধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।"(ছাই/আলিম/সুবর্ণা)