আইন পরিষদ হলো হংকংয়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি। সম্প্রতি কোন কোন চরমপন্থী আইন পরিষদভবন ও সড়কে অপরাধী কর্মকাণ্ড চালায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ভাষা নয় এবং এতে হংকংয়ের আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্র এ ধরণের তত্পরতার অনুমতি দিতে পারে না।
আসলে আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত এমন অপতত্পরতার ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনা করা। তাদের তত্পরতা আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতিরও লঙ্খন।
হংকং চীনের অধীনে ফিরে আসার পর বিগত ২২ বছরে চীন সরকার সংবিধান ও হংকং মৌলিক আইন অনুযায়ী বাস্তবভাবে 'এক দেশ, দু'টি ব্যবস্থা', 'হংকংয়ের নাগরিকদের দ্বারা হংকং প্রশাসন'—এই দুটি নীতি মেনে এসেছে। এর মধ্যেই হংকংয়ের নাগরিকদের আসল মানবাধিকার ও মুক্তি আছে।
বর্তমানে নতুন ইউরোপীয় সংসদ নির্বাচিত হয়েছে। এতে চীন-ইউরোপ সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন সুযোগও সৃষ্টি হবে। ইউরোপীয় সংসদে গৃহীত হংকংসম্পর্কিত ধারার কোনো আইনগত প্রভাব নেই, কিন্তু এটি ভুল সংকেত দিয়েছে। এটি দু'পক্ষের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অনুকূল না। (ছাই/আলিম/শিশির)