১৯৮৯ সালে মেং থিং ওয়েই মোটরসাইকেলের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। সে বছর তাঁর প্রথম গান 'স্কুলে খবর প্রচার খুব দ্রুত' প্রকাশিত হয়।
১৯৯০ সালের মে মাসে মেং থিং ওয়েই-এর প্রথম অ্যালবাম 'আসলে আমি কেয়ার করি' মুক্তি পায়। এই অ্যালবামের কারণে তাঁর ভক্তরা তাকে আদর করে 'বিস্কুট মেয়ে' বলে ডাকে'। একই বছরের নভেম্বর মাসে তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম 'বড় হওয়া' মুক্তি পায়।
১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, মেং থিং ওয়েইয়ের তৃতীয় অ্যালবাম 'দেখো, দেখো, চাঁদের মুখ' বাজারে আসে। এই অ্যালবাম তাইওয়ানে বিক্রি হয় ৫ লাখেরও বেশি কপি। অন্যদিকে এশিয়ায় এই অ্যালবাম বিক্রি হয় ৫০ লাখেরও বেশি কপি। তাই মেং থিং ওয়েই 'চাঁদের রানী'র খেতাবও পেয়ে যান।
১৯৯১ সালে মেং থিং ওয়েই টিভি নাটকের অভিনয়ে যোগ দেন। তাঁর অভিনীত 'শেষ ছোট ট্রেন' সে বছর তাইওয়ানের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়।
১৯৯২ সালের মে মাসে, মেং থিং ওয়েইয়ের চতুর্থ অ্যালবাম 'শীতকালে তাইপেইয়ে এসে বৃষ্টি দেখো' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের 'শীতকালে তাইপেইয়ে এসে বৃষ্টি দেখো', 'নির্বাক সৃষ্টি', 'দেখো দেখো চাঁদের মুখ' তিনটি গান নিয়ে মেং থিং ওয়েই ১৯৯২ সালে হংকংয়ের দশটি শ্রেষ্ঠ গান এবং দশ জন শ্রেষ্ঠ নতুন কণ্ঠশিল্পীর মনোনয়ন পান।
১৯৯৩ সালে মেং থিং ওয়েইয়ের পঞ্চম অ্যালবাম 'কার অশ্রু আকাশে উড়ছে' মুক্তি পায়। সেই বছরের নভেম্বর মাসে তাঁর ষষ্ঠ অ্যালবাম 'বাতাসে বৃষ্টির তৈরি মেঘ আছে' বাজারে আসে। এই অ্যালবামের কারণে মেং থিং ওয়েই 'প্রকৃতির গায়িকা' এবং 'আবহাওয়া রানীর' নামও পায়ে যান।
১৯৯৪ সালের অগাস্ট মাসে মেং থিং ওয়েইয়ের সপ্তম অ্যালবাম 'নির্ভেজাল সময়' প্রকাশিত হয়। একই বছর তিনি 'সনি মিউজিক তাইওয়ানে' যোগ দেন।
১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে মেং থিং ওয়েইয়ের নবম অ্যালবাম 'হৃদয়ের কথা, হাতের কথা' প্রকাশিত হয়।
এক বছর পর ১৯৯৭ সালের মার্চ মাসে, তাঁর দশম অ্যালবাম 'দ্বিতীয় রংধনু' বাজারে আসে।
তারও এক বছর পর, অর্থাত্ ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে মেং থিং ওয়েইয়ের একাদশ অ্যালবাম 'মেং থিং ওয়েইয়ের মিউজিক বক্স' মুক্তি পায়।
২০০০ সালে মেং থিং ওয়েই সংগীত মহল থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর, ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে মেং থিং ওয়েই বেইজিংসহ ১১টি শহরে ১২টি 'মেং থিং ওয়েইয়ের তাইপেই প্রেমের গল্প' নামে সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মেং থিং ওয়েইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)