ছেং লুং হংকংয়ে জন্মগ্রহণ করেন, ছোটবেলায় বাবা মা'র সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেন। ১৯৬১ সালে ছেং লুং আবার পরিবারের সঙ্গে হংকংয়ে ফিরে আসেন এবং চীনের অপেরা ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে রূপসজ্জা এবং অভিনয় বিষয়ে লেখাপড়া করেন।
১৯৭১ সালে ছেং লুং কুংফু পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র মহলে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে ছেং লুং 'মাতাল কুংফু' চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র মহলে তার কুংফু মাস্টারের মর্যাদা স্থাপন করেন।
১৯৮০ সালে ছেং লুং পরিচালক হিসেবে 'দ্য ইয়োং মাস্টার' চলচ্চিত্র তৈরি করেন। এই চলচ্চিত্র হংকংয়ের চলচ্চিত্রের বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে।
১৯৮৬ সালে ছেং লুং 'পুলিশের গল্প' চলচ্চিত্রের পরিচালক এবং প্রধান অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন। এবং এই চলচ্চিত্র পঞ্চম হংকং ফিল্ম আওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।
১৯৯২ সালে ছেং লুং-এর অভিনীত 'পুলিশের গল্প ৩:সুপার পুলিশ' ২৯তম তাইওয়ানের গোল্ডেন হর্স আওয়ার্ড -এর শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেতার পুরস্কার পায়। ১৯৯৩ সালে ছেং লুং 'সিরিয়াস কেস' চলচ্চিত্র নিয়ে আবারও তাইওয়ানের গোল্ডেন হর্স আওয়ার্ডের' শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেতার পুরস্কার পান।
১৯৯৫ সালে ছেং লুং চলচ্চিত্র রাম্বল ইন দ্য ব্রোঙ্কস' নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হলিউডে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। এই চলচ্চিত্র উত্তর আমেরিকার বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের বক্স অফিসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে।
১৯৯৮ সালে ছেং লুং-এর অভিনীত 'রাশ আওয়ার' হলিউডে ছেং লুং-এর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার মর্যাদা স্থাপন করে।
২০০১ সালে ছেং লুং-এর অভিনীত 'রাশ আওয়ার ২' হলিউডে চীনা অভিনেতার বক্স অফিসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে।
২০০৫ সালে ছেং লুং তার অভিনীত চলচ্চিত্র 'নতুন পুলিশের গল্প' নিয়ে ২৫তম চীনা চলচ্চিত্রের গোল্ডেন রুস্টার আওয়ার্ড -এর শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেতার পুরস্কার পান।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের 'নিইউয়র্ক টাইমস' পত্রিকা ছেং লুংকে 'ইতিহাসের ২০ জন সবচেয়ে মহান অ্যাকশন স্টার'-এ নির্বাচন করে।
শিল্প মহল ছাড়া ছেং লুং দাতব্য কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ২০০৩ সালে ছেং লুংকে চীনকে মুগ্ধ করা দশ জন ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় গায়ক ছেং লুং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবার কথা হবে। (শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)