চীনা সংগীত মহলে ছেন পাই ছিয়াংয়ের খুব উঁচু মর্যাদা এবং প্রভাব আছে। তিনি হংকংয়ের সংগীত মহলের খুব বিখ্যাত এবং মর্যাদাপূর্ণ কণ্ঠশিল্পী। তিনি ১৯৮০ সালে ক্যান্টোনিজ ভাষার সংগীত মহলের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি ছিলেন। সুর রচনা, গান গাওয়া ও নাচে তিনি খুব দক্ষ ছিলেন। তার চেহারাও ছিল সুন্দর।
ছেন পাই ছিয়াং হংকংয়ের একটি ধনী ব্যবসায়ীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় সবার ভালোবাসা ও যত্নে বড় হন তিনি। উচ্চবিদ্যালয়ের সময় থেকে ছেন পাই ছিয়াং বিভিন্ন সংগীত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং পিয়ানো বাজাতে শুরু করেন।
ছেন পাই ছিয়াংয়ের বাবা আশা করতেন- ছেন পাই ছিয়াং মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। তবে, ছেন পাই ছিয়াংয়ের মন সবসময় সংগীতের দিকে থাকত। উচ্চবিদ্যালয় পাসের পর তিনি আর স্কুলে যাননি।
১৯৭৯ সালে ছেন পাই ছিয়াংয়ের প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'ফার্স্ট লাভ' (First Love) মুক্তি পায়। একই বছর ছেন পাই ছিয়াং 'তোমার জন্য কান্নাকাটি' নিয়ে হংকংয়ের চীনা ভাষার শ্রেষ্ঠ দশটি গানের পুরস্কার পান। ১৯৮১ সালে ছেন পাই ছিয়াং চলচ্চিত্র- 'বেকারত্বে' অভিনয় করেন।
১৯৮৩ সালে 'আজ রাতে ভালো থাকো' নামের গানটি নিয়ে সে বছর হংকংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের পুরস্কার পান। ১৯৮৬ সালে ছেন পাই ছিয়াং প্রেমের চলচ্চিত্র 'শরত্কালের রূপকথায়' অভিনয় করেন।
১৯৮৭ সালে ছেন পাই ছিয়াংয়ের রচিত গান 'আমার গল্প' সে বছর হংকংয়ের চীনা ভাষার শ্রেষ্ঠ দশটি গানের পুরস্কার পায়। ১৯৮৯ সালের জুলাই মাসে ছেন পাই ছিয়াংয়ের ক্যান্টোনিজ ভাষার অ্যালবাম 'জীবনে কী চায়' মুক্তি পায়। এই অ্যালবামের থিম সং 'জীবনে কী চায়' সে বছর হংকংয়ের শ্রেষ্ঠ দশটি চীনা ভাষার গানের পুরস্কার পায়।
১৯৮৯ সালের জুন মাসে ছেন পাই ছিয়াং টোকিও সংগীত উত্সবে অংশ নিয়ে 'শুধু তোমাকেই পছন্দ করি' গানটি গেয়ে টিবিএস পুরস্কার জিতে নেন। সে বছরের অগাস্ট মাসে ছেন পাই ছিয়াং অস্ট্রেলিয়ায় দু'টি 'দশ বছরের অনুভূতি' নামে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সে বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ছেন পাই ছিয়াং হংকংয়ে ছয়টি সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন।
১৯৯২ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ছেন পাই ছিয়াং তিনটি 'বিদায়' সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করেন। সে বছর তিনি সংগীত মহল থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ১৯৯৩ সালের ২৫ অক্টোবর ছেন পাই ছিয়াং মারা যান।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় গায়ক ছেন পাই ছিয়াংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবার কথা হবে। (শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)