ছোটবেলা থেকেই চাং হুই মেই বাবার উত্সাহে তায়েকোয়ান্দো শিখতে শুরু করেন। চাং হুই মেই-এর কাছে কাঠ ভাঙ্গা খুব সহজ ব্যাপার। কঠোর চর্চার পর চাং হুই মেই তায়েকোয়েন্দোর মাস্টার হন।
১৯৯২ সালে চাং হুই মেই তাইওয়ানের টেলিভিশনের উতেং পুরস্কার সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, তবে শেষ পর্যায়ে তিনি অসুস্থ্য হয়ে গানের কথা ভুলে যান, এই কারণে চাং হুই মেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন নি। পরের বছর অর্থাত্ ১৯৯৩ সালে চাং হুই মেই বাবার উত্সাহে আবার এই উতেং পুরস্কার সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, এবার তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। তবে যখন তিনি পুরস্কার বাসায় নিয়ে যান, তখন দেখেন তার বাবা মৃত্যুবরণ করেছেন।
১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে, চাং হুই মেই তাইপেই শহরে গিয়ে সঙ্গীত ব্যান্ড 'রিলাক্স' -এর প্রধান গায়িকা হিসেবে ব্যান্ডে যোগ দেন।
১৯৯৬ সালে চাং হুই মেই সঙ্গীত কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত মহলে যোগ দেন। একই বছর তার প্রথম অ্যালবাম 'বোন' প্রকাশিত হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি কপি। তা ১৯৯৬ সালে তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পীর অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড ভেঙে দেয়।
১৯৯৭ সালে চাং হুই মেই-এর দ্বিতীয় অ্যালবাম 'ব্যাড বয়' বাজারে আসে, এই অ্যালবাম মোট বিক্রি হয়েছে ১৩.৫ লাখেরও বেশি কপি। তা ১৯৯৭ সালে তাইওয়ানের নারী কন্ঠশিল্পীর অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড ভেঙে দেয়।
১৯৯৮ সালে চাং হুই মেই-এর চতুর্থ অ্যালবাম 'হাত ধরা' রিলিজ হয়। এই অ্যালবাম নিয়ে চাং হুই মেই যুক্তরাষ্ট্রের বিলবোর্ড সঙ্গীত তালিকার এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার জিতে নেন।
১৯৯৯ সালে চাং হুই মেই সিংগাপুরের সোনালী সঙ্গীত পুরস্কারের সবচেয়ে জনপ্রিয় নারী কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার পান। ২০০০ সালে চাং হুই মেই চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন-সিসিটিভি'র বসন্ত উত্সবের মঞ্চে উঠে 'আমাকে অনুভূতি দাও' নামে গানটি পরিবেশন করেন।
২০০১ সালে চাং হুই মেই নিজের অষ্টম অ্যালবাম 'যাত্রা' প্রকাশ করেন। একই বছরের অক্টোবর মাসে তার নবম অ্যালবাম 'সত্য' বাজারে আসে। ২০০২ সালে চাং হুই মেই যুক্তরাষ্ট্রের 'টাইমস' ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে স্থান পান। একই বছর তিনি 'সত্য' অ্যালবাম নিয়ে তাইওয়ানের গোল্ডেন মেলোডি আওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার নারী কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার জিতে নেন।
২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল চাং হুই মেই আরেকটি অ্যালবাম 'আমি' প্রকাশ করেন। একই বছর তিনি তৃতীয় বারের মত তাইওয়ানের গোল্ডেন মেলোডি আওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার নারী কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার পান।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাং হুই মেই'র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)