চাং শাও হান ছোটবেলা থেকেই গান গাইতে পছন্দ করতেন। তবে, তখন তিনি ভালো গান গাইতে পারতেন না। পরে তিনি প্রতি সপ্তাহ দুই তিন বার গান চর্চা করেন। আস্তে আস্তে তার কণ্ঠ আরও সুন্দর হয়ে ওঠে।
চাং শাও হানের মা কোরাস দলের একজন সদস্য। তিনি সবসময় পিয়ানো বাজিয়ে চাং শাও হানের জন্য গান গাইতেন। এভাবেই সংগীতের প্রতি চাং শাও হান অনেক অনুরাগী হন।
প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ বর্ষের সময় চাং শাও হান পরিবারের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। তবে তিনি সিঙ্গাপুরের জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে আবার তাইওয়ানে ফিরে আসেন।
আসলে চাং শাও হান ছিলেন স্বাধীনচেতা। সব কাজ নিজেই করতেন। প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম বছরে তিনি মায়ের রেস্তোরাঁয় সাহায্য করতে শুরু করেন।
প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম বছরে চাং শাও হানের দাদা তাদেরকে কানাডায় অভিবাসনে সাহায্য করেন। কানাডায় চাং শাও হানের বাবার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ থাকায় কাজ করতে পারতেন না। চাং শাও হান পরিবারের প্রথম মেয়ে হিসেবে ১৫ বছর বয়সেই পুরো পরিবারের বোঝা কাঁধে তুলে নেন। অন্যের গাড়ি ধোয়া, খাবার ডেলিভারি করাসহ বিভিন্ন কাজ করতেন চাং শাও হান।
পরিবারের অবস্থা ভালো না হলেও বাবা-মা চাং শাও হানের সংগীতের স্বপ্নে সমর্থন দিতেন। পরে চাং শাও হান অনেক সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তখন চাং শাও হান সবসময় সমুদ্রের তীরে গান গেয়ে সংগীত চর্চা করতেন, তিনি সমুদ্রকে তার দর্শক হিসেবে ভাবতেন।
১৭ বছর বয়সে চাং শাও হান এক সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কানাডার প্রথম পুরস্কার পান। এর মাধ্যমে তিনি তাইওয়ানে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগও পেয়ে যান। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় সংগীত কোম্পানি তার প্রতিভা দেখে তার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর চাং শাও হান আবারও কানাডায় ফিরে গিয়ে নিজের লেখাপড়া শেষ করেন। এ কারণে দুই/তিন বছর তিনি কোনো আয় করতে পারেন নি।
২০০৪ সালে চাং শাও হানের প্রথম অ্যালবাম Over The Rainbow প্রকাশিত হয়। ২০০৫ সালে চাং শাও হান নিজের অ্যালবাম 'ওরোলা' নিয়ে ১৬তম তাইওয়ানের গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডের' শ্রেষ্ঠ গায়িকার মনোনয়ন পান।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাং শাও হানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)