তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কিছু বিভাগ উন্নয়নের নতুন ধারণা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং শক্তি সাশ্রয় ও দূষিত পদার্থ নির্গমন হ্রাসের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ স্পষ্টভাবেই উন্নত হচ্ছে। নতুন পরিস্থিতিতে উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়নের চাহিদা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সমন্বয় ঘটানো, অর্থনীতির কাঠামোর সুবিন্যস্ত করা, শক্তি সাশ্রয়ের সম্ভাবনা জোরদার করা এবং সবুজ ও নিম্ন কার্বন টেকসই উন্নয়নের শিল্প ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা দ্রুততর করা উচিত। পাশাপাশি, অর্থনীতি ও সমাজের স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া এবং বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অবদান রাখা উচিত্ বলেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী লি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা সমস্যা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে হ্রাসের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করতে চীন নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী লি। সেই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা, ন্যায়সঙ্গতভাবে সহযোগিতা জোরদার করে যৌথভাবে 'জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো চুক্তি' ও 'প্যারিস চুক্তি' এবং এর নির্দিষ্ট বিধি রক্ষা করা এবং বিশ্ব জলবায়ু প্রশাসনের উন্নয়ন বেগবান করার ক্ষেত্রে চীনের আগ্রহের কথা জানান তিনি।
(লিলি/তৌহিদ)