চাং সিন চ্য একটি ধর্মীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীত সম্বন্ধে তার অনেক আগ্রহ ছিল। তিন/চার বছর বয়সেই চাং সিন চ্য গান গাইতে পারতেন!
উচ্চ বিদ্যালয়ে চাং সিন চ্য-এর স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ বেশ উন্মুক্ত ছিল। স্কুলটি ছাত্রছাত্রীদের প্রচুর স্বাধীনতা দিত। এর ফলে চাং সিন চ্য শিল্প সম্বন্ধে অনেক জানতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় চাং সিন চ্য খ্রিস্ট ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ইংরেজি ভাষা শেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমোদন দেয়। সংগীত তিনি ভালো জানেন বলে তিনি কোরাস দলের নেতৃত্ব দেন, সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। এ কারণে চাং সিন চ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে চাং সিন চ্য একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় Understanding Heart গানটি গেয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। এই সুযোগে চাং সিন চ্য সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরও করে ফেলেন।
১৯৮৭ সালে চাং সিন চ্য সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৮৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম 'মিথ্যা বলা' প্রকাশিত হয়।
১৯৯৫ সালে চাং সিন চ্য নিজস্ব সংগীত স্টুডিও গঠন করেন। ১৯৯৬ সালে চাং সিন চ্য 'সহনশীলতা' অ্যালবামের কারণে 'সপ্তম তাইওয়ানের গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডে' শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার গায়কের পুরস্কার জয় করেন।
১৯৯৭ সালে চাং সিন চ্য 'অতিরিক্ত', 'স্মরণ', 'গভীর ভালোবাসা'সহ কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০০ সালে চাং সিন চ্য চীনের চায়না ন্যাশনাল রেডিওতে চীনের পপ সংগীত তালিকায় তাইওয়ানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কের পুরস্কার পান।
২০০৩ সালে চাং সিন চ্য 'নিজের রচিত গানের পুরস্কারের' তাইওয়ানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কের পুরস্কার পান।
২০০৯ সালে চাং সিন চ্য-এর অ্যালবাম 'পালিয়ে যাওয়া' প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে চাং সিন চ্য-এর আরেকটি অ্যালবাম 'শুরু' বাজারে আসে। ২০১২ সালে তার অ্যালবাম 'বাকি সময়' বাজারে আসে। ২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে চাং সিন চ্য-এর অ্যালবাম 'এখনও ভালোবাসা' মুক্তি পায়।
২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি, চাং সিন চ্য চীনের হুনান টেলিভিশনের সংগীত অনুষ্ঠান 'আই এম সিংগারে' যোগ দিয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার জয় করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চাং সিন চ্য-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের অনুষ্ঠানে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)