
ইয়াং ইয়ু ইং খুব সাধারণ এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা সিয়ুং ইয়ুং হুং-এর প্রভাবে ছোটবেলায় তিনি সংগীত ক্ষেত্রে নিজের সহজাত প্রতিভা প্রকাশ করেন। পাঁচ বছর বয়সেই তিনি পিয়ানো বাজাতে পারেন। ছয় বছর বয়সে তিনি মঞ্চে উঠে পারফর্ম করতে পারেন। ১৯৮৫ সালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশনের দেশব্যাপী সংগীত প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৮৬ সালে ১৫ বছর বয়সী ইয়াং ইয়ু ইং নানছাং নর্মাল ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন এবং পেশাদার সংগীত নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। স্নাতকের পর তিনি চিয়াংসি প্রদেশের নৃত্যগীত দলে যোগ দেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে অপেরা শেখেন।
১৯৯০ সালে ইয়াং ইয়ু ইং চিয়াংসি নৃত্যগীত দলের একজন শিক্ষকের সঙ্গে চীনের কুয়াংচৌ শহরে যান। তখন কুয়াংচৌ-এ চীনের সংগীতের উন্নয়ন সবচেয়ে সমৃদ্ধ। এরপর তিনি কুয়াংচৌ নতুন যুগ সংগীত কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সংগীত মহলে যোগ দেন।
১৯৯১ সালে ইয়াং ইয়ু ইং-এর প্রথম অ্যালবাম 'ভালোবাসার কামনা' প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবাম ২ লাখ কপি বিক্রি হয়। এরপর তিনি 'মিষ্টি মেয়ে' হিসেবে সারা চীনে বিখ্যাত হয়ে উঠেন।
১৯৯২ সালে, ইয়াং ইয়ু ইং-এর অ্যালবাম 'মনোমুগ্ধকর বাতাস, মিষ্টি পানি' মুক্তি পায় এবং বিক্রি হয় ১০ লাখেরও বেশি কপি। তা তখন চীনের কন্ঠশিল্পীর অ্যালবাম বিক্রির নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। একই বছর তিনি চীনের কেন্দ্রীয় বেতারের 'শ্রোতাদের সবচেয়ে প্রিয় গায়িকা' পুরস্কার পান।
১৯৯৩ সালে ইয়াং ইয়ু ইং-এর অ্যালবাম 'চাঁদের নৌকা' প্রকাশিত হয়। তা বিক্রি হয়েছে দশ লাখেরও বেশি কপি। ১৯৯৪ সালে তার অ্যালবাম 'তোমার জন্য দশ হাজার বছর অপেক্ষা করবো' দেশের শ্রেষ্ঠ গানের পুরস্কার পায়। এই অ্যালবামের অন্যতম একটি গান 'আকাশের তারাই আমার চোখ' চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি'র এমটিভি প্রতিযোগিতার সোনালি পুরস্কার জিতে নেয়। ২০০০ সালে তিনি আবার নতুন একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে তার অ্যালবাম 'ভুলে চাই না' বিক্রি হয় ৪৮ লাখেরও বেশি কপি। ২০০২ সালে তার অ্যালবাম 'মা আমাকে একটি গান দিয়েছেন' প্রকাশিত হয়। একই বছর তিনি বেইজিংয়ে ব্যক্তিগত কনসার্ট আয়োজন করেন।
২০০৬ সালে তার আরেকটি অ্যালবাম 'ভুলে যেও না' প্রকাশিত হয়। ২০০৯ সালের অগাস্ট মাসে তার আরেকটি অ্যালবাম 'এসকেসিডি ইয়াং ইয়ু ইং' মুক্তি পায়।
২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর তিনি বেইজিংয়ের একটি মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি, তিনি চীনের হুনান টেলিভিশনের বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল, সংগীত জগতে প্রবেশের ২৩ বছর পর ইয়াং ইয়ু ইং আবার তার বিখ্যাত হওয়ার শহর-কুয়াংচৌতে ফিরে গিয়ে একটি কনসার্ট আয়োজন করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ইয়াং ইয়ু ইং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার গাওয়া কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)






