এদিন ইরানের আণবিক সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভানদি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান ৩.৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির সীমানা মানবে না। তিনি আরও বলেন, পরমাণু চুক্তিসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ইরানের স্বার্থ রক্ষা করতে না পারলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হবে।
উল্লেখ্য, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির সীমারেখা পরমাণু চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধি। ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পরমাণু অস্ত্রের কাঁচামাল, অর্থাত্ পরমাণু বোমা তৈরি করা সম্ভব। ২০১৫ সালে ইরান ছয়টি দেশের সঙ্গে সার্বিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে বলা হয়, চুক্তি কার্যকরী হওয়ার ১৫ বছরের মধ্যে ৩০০ কেজির ৩.৬৭ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সংরক্ষণ করতে পারবে ইরান এবং আন্তর্জাতিক সমাজ ইরানের ওপর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নেবে।
কিন্তু, গত বছরের মে মাসে একতরফাভাবে সার্বিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় ওয়াশিংটন। এরপর ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে।
(সুবর্ণা/তৌহিদ/শুয়ে ফেই ফেই)