চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের মাধ্যমে মতভেদ দূর করবে- প্রত্যাশা জার্মান অর্থনীতি মহলের
  2019-07-08 15:08:58  cri
জুলাই ৮: সম্প্রতি জি-টোয়েন্টি ওসাকা শীর্ষসম্মেলনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদ্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু'নেতা সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে পুনরায় বাণিজ্যিক সংলাপ শুরুর বিষয়ে একমত হয়েছেন। এতে দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা পুনরায় সঠিক পথে ফিরে আসার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমাজ ও বিশ্ব বাজারেও ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে জার্মানির অর্থনৈতিক মহল সংলাপের মাধ্যমে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতভেদ সমাধানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ বিষয়ে কিছু কথা বলবো।

জার্মানির ৭০জনেরও বেশি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত জার্মানির সর্বাধুনিক পণ্য সমিতি- মেইস্টারক্রেইস। এটি জার্মান ব্র্যান্ডগুলোর একটি বিশেষ ফোরাম। এতে পোর্শ, ল্যাঞ্জ, গ্যাগেনউন, লেইকা, মেসন, মন্টব্লক, সেনেহিসার, বার্লিন ফিলহর্মোনিনিক অর্কেস্ট্রা ও বার্লিন জাতীয় গ্যালারি রয়েছে। সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ক্লেমেনস পফ্লানজ মনে করেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাময় আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রশমিত হলে সারা বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। শুধুমাত্র সমতার ভিত্তিতে সংলাপ দু'দেশ এমনকি, বিশ্ব স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

তিনি বলেন, যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংলাপ হলো সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায়। সংলাপের ভিত্তিতে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। অর্থাত্, শুধু সহজ মতবিনিময় নয়, বরং পারস্পরিক সমঝোতা ও বিশ্বাস বাড়াতে হবে। এর ভিত্তিতে সহযোগিতা চালিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এবং আরও গভীর যোগাযোগ জোরদার করতে হবে।

তাঁর দৃষ্টিতে বিশ্বের দু'টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে দু'দেশের সম্পর্কের পরিবর্তন বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনিশ্চয়তা বেশি হলে বিশ্বে অশান্তি তৈরি হবে। বর্তমানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কও ভালো অবস্থায় নেই। সেজন্য ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপ প্রয়োজনীয়। একটি দেশ একা অনেক সমস্যাই সমাধান করতে পারে না। যেমন- বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা একটি দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।

জার্মানির বিখ্যাত্ হস্তনির্মিত চকোলেট ব্র্যান্ডের বাজারের বিক্রয় ম্যানেজার ম্যাক্সিমিলিয়ান কাউব, কনফিসারি বার্গ লয়েনস্টাইন জিএমবিএইচ এ বিষয়ে নিজদের উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সহযোগিতা ছাড়া কোনো স্বার্থ অর্জন করা সম্ভব না। যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং অন্য পক্ষের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করা বা তাদের বাধ্য করার পদ্ধতি স্থায়ী কোনো সমাধান নয়।

কাউব চীনা বাজারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়ার কারণ নিয়ে বলেন,

যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির গাড়িসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এতে প্রচুর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সেজন্য আমরা এশীয় বাজারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে চীনা বাজারের ওপর। চীনা বাজারের শক্তিশালী বৃদ্ধির চালিকাশক্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ই-কর্মাস ও অনলাইন পেইমেন্টসহ অগ্রণী প্রযুক্তি হলো আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ।

(ছাই/তৌহিদ/স্বর্ণা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040