চীন ও মালয়েশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সর্বমুখী উন্নয়ন হবে: মালয়েশিয়া ও চীনের মৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান
  2019-07-07 15:54:53  cri

 এ বছর চীন ও মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী। বর্তমানে দু'দেশের সম্পর্ক নতুন ঐতিহাসিক সূচনায় দাঁড়িয়েছে। দু'দেশের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে দু'পক্ষের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠাকাজকে এগিয়ে নিতে হবে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার পুঁজি বিনিয়োগ ব্যুরোর চেয়ারম্যান এবং মালয়েশিয়া ও চীনের মৈত্রী সমিতির চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বিন আহমদ খান চীন ও মালয়েশিয়ার সম্পর্কের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিআরআই'কে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ও চীনের উচিত দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ বোধ করা। কারণ, বিগত ৪৫ বছরে দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

'প্রথমত, পারস্পরিক আস্থার ক্ষেত্রে বিশাল অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। পারস্পরিক আস্থা না থাকলে যে কোনো কাজ করা সম্ভব হবে না। দ্বিতীয়ত, দু'দেশের মৈত্রী সম্পর্কের অবিরাম উন্নয়নে ইতিবাচক ফলাফল অর্জিত হয়েছে। বিগত ৪৫ বছরে দু'দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের শীর্ষনেতৃবৃন্দ যৌথভাবে একই ধারণা পোষণ করেছেন, তা হল দু'দেশের মৈত্রী সম্পর্কের অবিরাম উন্নয়ন দরকার'।

তিনি বলেন, দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অবিরাম উন্নয়ন এবং উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক আস্থা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। এই প্রক্রিয়ায় দু'দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ অব্যাহতভাবে বাড়ে, পুঁজি বিনিয়োগ অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পায় এবং কর্মকর্তাদের যোগাযোগ অধিক থেকে অধিকতর ঘনিষ্ঠ হয়। মালয়েশিয়া মনে করে, দু'দেশের সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

'মালয়েশিয়া ও চীনের সম্পর্কের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উপেক্ষা করা যাবে না। তাঁর প্রথম কার্যমেয়াদে সবার জন্য চীনকে উপলব্ধি করার নেতৃত্ব দেন তিনি। এটি বর্তমানে দু'দেশের সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। বর্তমানে তাঁর প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কার্যমেয়াদে চীনের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবকে দৃঢ় সমর্থনের কথা এবং হুয়াওয়েইসহ চীনের হাইটেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বহুবার বলেছেন তিনি'।

এ বছরের এপ্রিল মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বলেন, যৌথভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠাকাজকে এগিয়ে নেওয়া এক মহা প্রস্তাব। এর বিশাল সুপ্তশক্তি রয়েছে। এটি কেবল যে বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো নির্মাণকাজের সম্মুখীন সমস্যা সমাধান করবে তা নয়, তা বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতাও দূর করবে। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়ায় চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়তা দিয়েছে এই প্রস্তাবটি।

চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বিন আহমদ খান মনে করেন, নতুন পরিস্থিতিতে চীন ও মালয়েশিয়ার উচিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে আরও বেশি প্রচেষ্টা চালানো। এভাবেই অভূতপূর্ব পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দু'দেশের সম্পর্কের অবিরাম ও স্থিতিশীল উন্নয়ন সুনিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে দু'দেশের নতুন প্রজন্মের যুবকদের দায়িত্ব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

'চীনে যুবকদের বিনিময় কর্মসূচি আয়োজনের দু'টি লক্ষ্য আছে আমাদের। এক, চীনের দ্রুত গতির উন্নয়ন অনুভব করা। দুই, চীনা সংস্কৃতি উপলব্ধি করা'। (ওয়াং হাইমান/টুটুল/তুহিনা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040