১. ট্রাম্প প্রশাসন চীনের আরও ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানিপণ্যের ওপর শুল্ক বাড়াতে চায়। এমতাবস্থায় অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি এ ধরনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে। তাঁরা মনে করে, শুল্ক বাড়ালে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মার্কিন মেধাস্বত্ব ও কর্মসংস্থানের ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারণা।
মঙ্গলবার শেষ-হওয়া এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিল্পের ৪০ জনেরও বেশি প্রতিনিধির অধিকাংশ মনে করেন, চীনা পণ্যের মূল্য কম; মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো চট করে বর্তমান সরবরাহকারী পরিবর্তন করতে পারে না।
শুনানি ১৭ জুন শুরু হয়। শুনানিতে অনেক প্রতিনিধি সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে চীনের রফতানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেন। শুনানি'র আগে ৫২০টি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ও ১৪১টি বাণিজ্যিক সমিতি যৌথভাবে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ না-করতে আহ্বান জানায়।
২. ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র প্রধান সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি সম্প্রতি চীনের সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন সরকারের বাণিজ্যিক আধিপত্যবাদ ও একতরফা আচরণ দেশটির নিজের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, চীনা রফতানিপণ্যের ওপরে শুল্ক অব্যাহতভাবে বাড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশটি প্রচুর কর্মসংস্থান হারাবে। মার্কিন সরকার চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে এবং ভারতের জিএসপি সুবিধা বাতিল করেছে। এ ধরনের আচরণ সংকীর্ণ চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ এবং সকল পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর। বিশ্বায়নের এই যুগে কোনো দেশ এককভাবে কেবল উন্নত হতে পারে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাণিজ্যিক অংশীদারদের রফতানিপণ্যের ওপর একতরফাভাবে শুল্ক বাড়ানো আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন। দু'টি দেশের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক বিরোধ থাকলে, তা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যস্থতায় সমাধান করা উচিত। বাণিজ্যযুদ্ধ সকল পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর।
৩. মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে, চীনের সুগোন ও জিয়াংনানসহ আরও পাঁচটি চীনা প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এর ফলে এই পাঁচটি চীনা প্রতিষ্ঠান মার্কিন সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত ২৪ জুন থেকে কার্যকর হয়।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন টেক জায়ান্ট হুয়াওয়েইর ওপর একতরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নতুন করে যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হলো, সেগুলো মূলত সুপার কম্পিউটিং-সংশ্লিষ্ট ব্যবসা করে থাকে। সুপার কম্পিউটিংয়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৫০০টি কম্পিউটারের নামতালিকায় চীনের 'শেনওয়েই-থাইহু আলো' ও 'থিয়ানহ্যে ২' যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ৫০০টি শ্রেষ্ঠ কম্পিউটারের মধ্যে চীনের ২৯১টি। সংখ্যার দিক দিয়ে চীন বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপার কম্পিউটার 'সামিট' প্রথম স্থানে রয়েছে। কিন্তু ৫০০টি শ্রেষ্ঠ কম্পিটারের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ১১৬টি। এতে এই খাতে চীন-মার্কিন প্রতিযোগিতা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আসলে জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে প্রযুক্তি খাতে চীনের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
৪. চীনের টেক জায়ান্ট হুয়াওয়েই কম্পানি সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসি'র আদালতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। কম্পানির অভিযোগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিনাবিচারে হুয়াওয়েই'র যন্ত্রপাতি আটকে রেখেছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৭ সালে হুয়াওয়েই একটি কম্পিউটার ও ইথারনেট সুইচসহ কয়েকটি চীনে-উত্পাদিত-টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি নিরপেক্ষ ল্যাবে পরীক্ষা করতে পাঠায়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এসব যন্ত্রপাতি চীনে ফেরত পাঠানোর পথে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানির অনুমোদনপত্র লাগবে—এই অজুহাতে সেগুলো আটক করে।
ঘটনার পর হুয়াওয়েই মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি সরবরাহ করে এবং মন্ত্রণালয় ৪৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ২০ মাস গত হলেও, মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
হুয়াওয়েই-র যুক্তি হচ্ছে, এসব যন্ত্রপাতি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে উত্পাদিত হয়েছে এবং উত্পাদনকারী দেশে তা ফেরত পাঠাতে রফতানির অনুমোদনপত্র অপ্রয়োজনীয়। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই মাসের পর মাস ধরে যন্ত্রপাতিগুলো আটকে রেখেছে।
৫. সম্প্রতি, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সংঘাত বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও'সহ কয়েকজন রাজনীতিবিদ দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে আসছেন। যারা এমন কথা বলছেন, দৃশ্যত তারা যুক্তরাষ্ট্রের ধনী হয়ে ওঠার ইতিহাস ভুলে গেছেন।
১৭৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, মাত্র স্বাধীন হওয়া যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে, জর্জ ওয়াশিংটনের জন্মদিনে চীনের সঙ্গে ব্যবসা করার লক্ষ্যে 'চায়না কুইন' নামক একটি জাহাজ পাঠিয়েছিল। জাহাজটি ২৮ অগাস্ট চীনের কুয়াংচৌতে পৌঁছায়। কুয়াংচৌতে ৩ মাস অবস্থান করে জাহাজটি। তখন জাহাজের মার্কিন ব্যবসায়ীরা আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা জিনসেন, মরিচ, তুলো, সুতা ও শিশা বিক্রি করে এবং চীন থেকে চা, চীনা মাটি, রেশম, নানচিং কাপড় ও দারুচিনি ক্রয় করে। এই ক্রয়-বিক্রয়ে তখন মার্কিন ব্যবসায়ীদের লাভ হয়েছিল ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি।
এ তাত্পর্যপূর্ণ বাণিজ্যিক যাত্রা থেকে মার্কিনিরা সুদূর চীন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করার সুফল উপলব্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের পর নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, পর্তুগালকে ছাড়িয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়।
দু'শ বছর আগে চীনের সঙ্গে ব্যবসা করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সাফল্যের সঙ্গে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের পথে সামনে এগুতে শুরু করেছিল। আর বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে দু'দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৬৩৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দু'দেশের মধ্যে ১৪ হাজার মানুষ যাওয়া-আসা করছে। মার্কিন কম্পানিগুলো চীনে ব্যবসা করছে বার্ষিক ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এবং লাভ করছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করে। এমন গভীর সম্পর্ক কি এক কথায় ভেঙে যাবে?
সম্প্রতি ওয়ালমার্টসহ ৬০০টিরও বেশি মার্কিন কম্পানি সরকারকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘর্ষ বন্ধের অনুরোধ জানায়। তারা মনে করে, চীনা পণ্যের বিকল্প নেই। চীনা পণ্যের ওপরে শুল্ক বাড়ালে মার্কিন ভোক্তারা এর শিকার হবে।
বিশ্বায়নের যুগে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য তা হবে বিপর্যয়কর। তা ছাড়া, দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বিরোধ সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সঠিক পদ্ধতিতে এ ধরনের বিরোধ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ইতিহাস ও বাস্তবতা থেকে বোঝা যায়, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সংঘাতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই, পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে দু'দেশের মতবিরোধ দূর হওয়া উচিত।
৬. ষোড়শ চীন আন্তর্জাতিক মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেলা সম্প্রতি কুয়াংচৌয়ে আয়োজন করা হয়। দেশি-বিদেশি ৩ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করে। মেলা চলে ২৭ জুন পর্যন্ত।
চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মিয়াও ইয়ু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, এ মেলা ইতোমধ্যেই চীনের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। মেলার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মতবিনিময় ও আদানপ্রদান গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। চীন এ মেলাকে সেতু হিসেবে ব্যবহার করে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখতে ইচ্ছুক।
৭. চীনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের বন্যা ও খরা নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কর্মসম্মেলন সম্প্রতি চিয়াংসি প্রদেশের নানছাং শহরে অনুষ্ঠিত হয়। চীনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াং সম্মেলনে বলেন, বন্যা ও খরা নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত কাজ ভালোভাবে করতে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন বন্যার মৌসুম। বন্যা ও খরা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার করতে হবে। তিনি দুর্বল অঞ্চলগুলোতে তত্ত্বাবধান-ব্যবস্থা এবং জরুরি অবস্থা মোকাবেলার প্রস্তুতি জোরদার করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
৮. বিশ্ব বর্তমানে গভীর উদ্বেগ আর অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায়, শুধু মানুষকেন্দ্রিক সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করা সম্ভব। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরহিস সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম ও শ্রমিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম ও শ্রমিক সংস্থা প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পর, বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু সংকট, লোকসংখ্যার কাঠামো সমস্যা, এবং প্রযুক্তি ও সমাজসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যা কাজ ও কাজের পরিবেশের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
মহাসচিব বলেন, বিশ্বব্যাপী বিরাট অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সম্পদের সুষম বন্টন হচ্ছে না। বহুপক্ষবাদও ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কাজ ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের জন্য 'আজীবন শিক্ষার' ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, এবারের আন্তর্জাতিক শ্রম ও শ্রমিক সম্মেলন ১০ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত জেনিভায় অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৭ সদস্যদেশের ৫ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
৯. সম্প্রতি মস্কোয় অনুষ্ঠিত 'আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট নিরাপত্তা সম্মেলনে' রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইন্টারনেট নিরাপত্তার বৈশ্বিক মানদণ্ড গড়ে তোলা উচিত। রুশ সরকারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
সম্মেলনে মেদভেদেভ বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অপরাধমূলক তত্পরতা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। তাই ইন্টারনেট নিরাপত্তার একটি বৈশ্বিক মানদণ্ড থাকা দরকার। রাশিয়া মনে করে, ডিজিটাল জগতে একটি সমান ও ন্যায়সঙ্গত শৃঙ্খলা তৈরি করা উচিত।
মেদভেদেভ আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সাইবার হামলার ফলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অবস্থায়, বিভিন্ন দেশ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ইন্টারনেট নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।
(আলিমুল হক)