বৈঠককালে লি খ্য ছিয়াং বলেন, বাংলাদেশ হলো দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অংশীদার রাষ্ট্র। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২০১৬ সালে বাংলাদেশে সফল সফর করেন এবং দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক স্থাপন করেন। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে উচ্চপদস্থ খাতে বিনিময় জোরদার করতে, কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা সুসংবদ্ধ করতে, পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা বাড়াতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে চায়।
লি খ্য ছিয়াং বলেন, চীন 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে, বাংলাদেশ থেকে চীনে আমদানি বাড়াতে, বাংলাদেশের উন্নয়নে সাহায্য দিতে, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ জোরদার করতে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায়।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীতে চীনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ 'সোনার বাংলাদেশ' লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগে অংশ নিতে, আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার করতে, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য, পুঁজি বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।
বৈঠক শেষে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রী চীন-বাংলাদেশ পুঁজি বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও পর্যটন এবং জলসেচসহ বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা দলিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)