হংকং ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার; এতে কোনো দেশ বা সংস্থার হস্তক্ষেপের অধিকার নেই
জুলাই ২: হংকং ইস্যু চীনের একান্ত অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে কোনো দেশ বা সংস্থার হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। গতকাল (সোমবার) চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল মূল ভূভাগের কোলে ফিরে আসার ২২ বছর পূর্তি। তবে এদিন কিছু চরমপন্থি হংকংয়ের আইন প্রণয়ন কমিশনের ভবনে ঢুকে মারধোর ও ভাঙচুর করে। এ সহিংসতা হংকংয়ের আইনের পদদলন। এসব কাজ হংকংয়ের সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। আন্তর্জাতিক সমাজ এর নিন্দা জানায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইইউসহ কিছু পক্ষ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের অজুহাতে 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে' নিশ্চিত করতে চায়। এটি সহিংস অপরাধের 'দ্বিমুখী মানদণ্ড', এটি হংকং ইস্যু এবং চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারের বর্বরোচিত হস্তক্ষেপ। চীন এর তীব্র অসন্তোষ ও বিরোধিতা করে।
আইন মান্য করা হংকংয়ের শৃঙ্খলার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে, হংকং সরকার পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের হস্তান্তরসংক্রান্ত 'দুই বিধির' সংশোধন কাজ শুরু করে। এর উদ্দেশ্য হলো- সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারে হস্তান্তর সমস্যা সমাধান করা, হংকংকে 'অপরাধের স্বর্গে' পরিণত হতে বাধা দেওয়া। তবে হংকংয়ে এ নিয়ে ভিন্ন মতামত দেখা যায়। কেউ কেউ বিক্ষোভ করায় হংকং সরকার 'বিধি সংশোধনের' কাজ স্থগিত রেখেছে। যাতে সমাজের বিভিন্ন মহলের মতামত শোনা যায়।
তবে কিছু চরমপন্থি এ নিয়ে হংকংয়ের শৃঙ্খলা নষ্ট করতে চেয়েছিল। কোনো দেশ এ আচরণ সহ্য করবে না।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)