এবারের অনুষ্ঠান এক সপ্তাহ চলে। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তুতে ছিল 'কুং ফু জন্মস্থান' হেনান ট্যুরিজম ছবি প্রদর্শনী, হেনান প্রদেশ পর্যটন প্রচার কার্যক্রম, পর্যটন পরামর্শ ও ব্যাখ্যা, চীনা জাতীয় কস্টিউম প্রদর্শন ও অভিজ্ঞতা, মার্শাল আর্টস ও নৃত্য পারফরম্যান্স, চীনা স্ন্যাক অভিজ্ঞতা, চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী ও অভিজ্ঞতা। এর লক্ষ্য হলো পর্যটন প্রচার ও সাংস্কৃতিক বিনিময়গুলির মাধ্যমে সমসাময়িক চীনা গল্প বলা এবং চীনের পর্যটন উচ্চ মানের উন্নয়নের প্রচার করা।
২২ জুন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মিশরীয় নাগরিক হাজির হয়। মিশরে চীনের দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর, কায়রো চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সি ইয়েই ওয়েন, হেনান প্রাদেশিক পর্যটন অফিসের বৈদেশিক বিনিময় বিভাগের পরিচালক থিয়েন থাই ভিং, মিশরীয় ইসলামি শিল্প যাদুঘরের পরিচালক মামদৌউ ওথমান, মিশরের সাবেক সাংস্কৃতিকমন্ত্রী, মিশরের সাংস্কৃতিক বিভাগ, পর্যটন বিভাগ ও পুরাকীর্তিসংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কায়রোতে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সি ইয়েই ওয়েন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তৃতায় বলেন, ২০১৯ "কং ফু জার্নি--চীনা পর্যটন সংস্কৃতি সপ্তাহ" হলো চীনা সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের সাংস্কৃতিক পর্যটন প্রচার কার্যক্রম। এটি বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে অনুষ্ঠিত হবে। হেনান চীনা সভ্যতার উত্পত্তিস্থল, একই সঙ্গে "কুংফুর শহর" হিসেবে খ্যাত। "আজ, হেনান কার্যক্রম মিশরে এসেছে। আশা করা যায়, সবাই হেনানের সৌন্দর্য উপভোগ করবে, একে-অপরকে জানবে এবং একে-অপরকে ভালোবাসবে।"
মিশরীয় ইসলামি শিল্প যাদুঘরের পরিচালক মামদৌউ ওথমান আশা করেন, এবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আরো বেশি মিশরীয় নাগরিক চীনা সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারছে। তিনি বলেন, মিশরীয় ইসলামি শিল্প জাদুঘর বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামি শিল্প জাদুঘর। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে আরও সহযোগিতা ও বিনিময় হবে।
হেনান প্রাদেশিক পর্যটন অফিসের বৈদেশিক বিনিময় বিভাগের পরিচালক থিয়েন থাই ভিং হেনান প্রদেশের পর্যটন সম্পদ ও নিরপেক্ষ নীতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেন।