ওসাকা শীর্ষসম্মেলন আয়োজনের এ সময় সারা বিশ্ব সংরক্ষণবাদ ও একতরফাবাদের সম্মুখীন হয়েছে, শিল্প কাঠামো ও আর্থিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক পুঁজি বিনিয়োগে আস্থার অভাব দেখা দিয়েছে। এমন কঠিন সময়ে সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতারা বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, পরিবেশ ও জ্বালানি, কর্মসংস্থান, নারীর অধিকার, উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন এবং বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন।
এর মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণ এবং ধারাবাহিক দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয কূটনৈতিক কর্মসূচী আন্তর্জাতিক সমাজের নজর কেড়েছে। তিনি ঘোষণা করেন, চীনের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে, আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনা জোরদার হবে, টেকসই বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নত হবে, সার্বিকভাবে সম-মর্যাদা বাস্তবায়িত হবে এবং আমদানির পরিমাণ বাড়বে। এতে প্রমাণ হয় যে, চীন দৃঢ়ভাবে নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে এবং আর্থিক বিশ্বায়নে চালিকাশক্তি যোগাবে। সম্মেলনে বিভিন্ন পক্ষ এর ভূয়সী প্রশংসা করেছে। তারা মনে করে, প্রেসিডেন্ট সি'র সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন জোরদারের ধারণা বর্তমান বিশ্ব উন্নয়নে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ চীনের সহযোগী অংশীদারদের জন্য কল্যাণকর হবে বলে বিশ্বাস করে বিভিন্ন দেশ।
বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি চৌরাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে জি-টোয়েন্টি শীর্ষসম্মেলন বহুপক্ষবাদ, উন্মুক্তকরণ, সহনশীলতা, সহযোগিতা ও যৌথ কল্যাণের আহ্বান জানিয়েছে। চীনের দায়িত্ব- ভালোভাবে নিজের কাজ করা এবং উচ্চ মানের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)