চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনার পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেওয়া দু'দেশের জনগণের ইচ্ছা এবং বিশ্ব আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি বাজারের উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক।
বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনৈতিক গোষ্ঠী এবং বড় বাণিজ্যিক দেশ হিসেবে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহযোগিতায় কিছু মতভেদ থাকা খুব স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সমান সংলাপের মাধ্যমে মতভেদ নিয়ন্ত্রণ করা এবং সহযোগিতা জোরদার করা। এক বছরেরও বেশি সময়ে চীন সর্বোচ্চ ধৈর্য ও আন্তরিকতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জবাব দিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চেয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করে আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনায় বাধা দিয়েছে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিম্নমুখী চাপ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
বাস্তবতা প্রমাণ করে যে, শুল্ক আরোপ করে সমস্যা সমাধান করা যাবে না, বরং সমস্যা আরো বাড়বে। সমতার ভিত্তিতে সংলাপের মাধ্যমেই কেবল দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা সমাধান করা যাবে। এবার দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনা পুনরায় শুরু হবে, তার অর্থ দু'দেশ সমস্যা সমাধানের সঠিক পথে ফিরে এসেছে। তবে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা খুব জটিল, এর কার্যকর সমাধান চাইলে কঠোর চেষ্টা করতে হবে।
আলোচনার ফলাফল ভালো-খারাপ যাই হোক-না-কেন, চীন বরাবরের মতো নিজস্ব পথে এগিয়ে যাবে এবং নিজের কাজ ভালোভাবে করবে। সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করা হলো সব ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মূল পদ্ধতি।
(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)