বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন-জার্মান সহযোগিতা উন্নয়ন করা হলো দু'দেশের সরকার ও সমাজিক বিভিন্ন মহলের অভিন্ন ইচ্ছা। চীন ও জার্মানি পরস্পরের আস্থাশীল অংশীদার হতে পারে। জার্মান কোম্পানিগুলোর চীনে আরও বেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বেইজিং। উন্মুক্তকরণের প্রতিশ্রুতি চীন পূরণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, চীন ও জার্মানির উচিত নব্যতাপ্রবর্তনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অভিন্ন উন্নয়নের চালিকাশক্তিতে পরিণত করা। দু'দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ৫জি টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা। জার্মানির সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চালিয়ে আগামী বছরের মধ্যে চীন-ইউরোপ বিনিয়োগ চুক্তি আলোচনা শেষ করার ব্যাপারেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় মার্কেল বলেন, চীনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক জার্মানি। দু'পক্ষই বহুপক্ষবাদের পক্ষের শক্তি। দু'দেশের উচিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
বৈঠকে ইরানের পরমাণু ইস্যুতে দু'নেতা একমত হন যে, ইরান-পরমাণুচুক্তি মেনে নিয়ে সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধান করতে হবে। (স্বর্ণা/আলিম/মুক্তা)