আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা সমাধানে চীনের অবস্থান কখনো পরিবর্তিত হয়নি। চীন সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক যুক্তিপূর্ণ স্বার্থ রক্ষার কথা বলে আসছে বরাবরই। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চীন আন্তরিকতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মোট ১১ দফা আর্থ-বাণিজ্যিক উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ করেছে এবং সেসব সংলাপে অনেক অগ্রগতিও হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। এর ফলে দু'দেশের সংলাপ বাধাগ্রস্ত হবে।
যদিও চীন বরাবরই মনে করে, সংলাপ হলো আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা সমাধানের প্রধান পদ্ধতি, তবুও চীনের সহযোগিতার নীতি ও বেসলাইন আছে। চীন নিজস্ব কেন্দ্রীয় স্বার্থের প্রশ্নে কখনই কোনো ছাড় দিবে না।
বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ বিজয়ী হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিপণ্যের মধ্যে ৮২ শতাংশ মোবাইল ফোন, ৯৪ শতাংশ ল্যাপটপ, ৮৫ শতাংশ সাইকেল রিক্সা ও স্কুটার এবং ৯৮ শতাংশ খেলনা চীন থেকে যায়। তাই এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে দু'পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জি-টুোয়েন্টি'র ওসাকা শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে জাপান ২০১৯ সালের 'বাণিজ্য শ্বেতপত্র' প্রকাশ করেছে। পত্রে বলা হয়, বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদ ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দেশকে সংযম বজায় রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে শ্বেতপত্রে। আসলে এটি হল জি-টোয়েন্টি'র অধিকাংশ সদস্যদেশের অভিন্ন উদ্বেগ।
একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে চীন বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য যুক্তিযুক্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যা সমাধান করতে চায়। কিন্তু চীন কখনো কোনো চাপ ও হুমকিকে ভয় করে না। দু'দেশের মধ্যে চুক্তি হতে হবে কেবলমাত্র পারস্পরিক সম্মান ও কল্যাণের ভিত্তিতে আয়োজিত সংলাপের মাধ্যমে! (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)