২৫ জুন বিকেলে ঢাকায় জাতীয় সংসদভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চাং জোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি খ্য ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। চীন সফরকালে দু'দেশ চারটি স্বারকলিপি স্বাক্ষর করবে, যাতে দু'দেশের সহযোগিতামূলক প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক চমত্কার। দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুব ভালো। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন বড় অবদান রেখেছে, যেমন: অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে। আমি বহুবার চীন সফর করেছি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও বাংলাদেশ সফর করেছেন। প্রতিটি সফর সাফল্যমন্ডিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি'র বাংলাদেশ সফরকালে আমরা কর্ণফুলি গভীর নদীখনন প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এখন এই প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছে। চীনের কাজ খুব ভালো।"
রাষ্ট্রদূত চাং জো প্রথমে শেখ হাসিনাকে চীনা নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, "২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করেন। দু'দেশের সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত হয়। চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতার প্রবণতা খুব ভালো। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগবিষয়ক বাস্তব সহযোগিতা ইতোমধ্যেই গভীরতর হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের মাধ্যমে দু'দেশের কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা উন্নত হবে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং আইন প্রয়োগ ও প্রতিরক্ষা খাতের সহযোগিতা জোরদার হবে, দু'দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ও বাড়বে।"