তিনি বলেন, প্রাচীনকাল থেকে সিনচিয়াং চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে বহু জাতির বাস। এখানকার মানুষের ধর্মবিশ্বাসও একাধিক। বর্তমানে সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতির জনগণ সমতা ও ঐক্য, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সহায়তা, এবং অভিন্ন সংস্কার ও উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে, বিশেষ করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র অষ্টাদশ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের পর, কমরেড সি চিন পিংকেন্দ্রিক সিপিসি'র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে সিনচিয়াংয়ের অর্থনীতি, সমাজ ও মানবাধিকার খাতে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন জাতির জনগণের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিত্সা ও সামাজিক নিরাপত্তার পরিকল্পনা অব্যাহতভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন করে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংখ্যালঘু জাতির বিশিষ্ট্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা ও প্রচারের কাজ নিয়মিত করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ভাষা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষ ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকারকে পুরোপুরি সম্মান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা হল মানবজাতির অভিন্ন শত্রু। চীন সরকার যে-কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা দমন করে যাবে। চীনের সিনচিয়াং পেশাদার প্রযুক্তি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কেন্দ্র চরমপন্থা দ্বারা প্রভাবিত ও ছোট অপরাধে অপরাধী ব্যক্তিদের সংশোধন করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এর উদ্দেশ্য, সংশোধন করে তাদেরকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা। (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)