ছোটবেলা থেকেই না ইং গান গাইতে খুব পছন্দ করেন। ১৯৭৯ সালে না ইং লিয়াওনিং প্রদেশের শিশু বেতারে কোরাস দলে যোগ দেন।
১৯৮৩ সালে তিন বার পরীক্ষা দেয়ার পর না ইং অবশেষে শেন ইয়াং নৃত্যগীত দলে ভর্তি হন। নৃতগীত দলে যোগ দেয়ার পর দীর্ঘসময় না ইং অন্যের কণ্ঠসঙ্গী হিসেবে কাজ করেন। একবার একজন কণ্ঠশিল্পী অসুস্থ্য হওয়ায় যোগ দিতে পারেন না, এই সুযোগে না ইং প্রধান গায়িকার সুযোগ পান।
১৯৮৮ সালে না ইং একটি যুব সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি এই পুরস্কারের সোনালি পুরস্কার লাভ করেন। এর মাধ্যমে না ইং চীনের খুব বিখ্যাত গীতিকার কু চিয়ান ফেনের সঙ্গেও পরিচিত হয়ে তার শিক্ষার্থী হন। এরপর না ইং শেনইয়াং শহর থেকে বেইজিংয়ে চলে আসেন এবং তার সঙ্গীত জীবন শুরু করেন।
১৯৮৮ সালে না ইং গান 'শান গৌ গৌ' গেয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। ১৯৯০ সালে না ইং 'চারদিকে ঘুরবে' গানটি গেয়ে সেই বছর চীনের 'রেডিও সঙ্গীত' নির্বাচনে চ্যাম্পিয়ন হন।
১৯৯৪ সালে না ইং চীনের তাইওয়ান প্রদেশে 'তোমার কথা মিস করি' নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এরপর তিনি পর পর 'রাতের কথা বুঝতে পারে না দিন' এবং 'জয় করা'সহ বিভিন্ন অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
১৯৯৭ সালে চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল মূল ভূভাগের কোলে ফিরে আসে। এই উপলক্ষ্যে না ইং হংকং-এর বিখ্যাত গায়ক লিউ দ্য হুয়া-এর সঙ্গে 'পূর্বের মুক্তা' নামে গান পরিবেশন করেন। ২০০১ সালে না ইং নিজের অ্যালবাম 'রোম্যান্টিক' নিয়ে ১২তম তাইওয়ানের গোল্ডেন ম্যালডি আওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ চীনা ভাষার গায়িকার পুরস্কার পান।
২০০১ সালে না ইং-এর ষষ্ঠ অ্যালবাম 'আমি দেবদূত নই' প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালে না ইং-এর সপ্তম অ্যালবাম 'বর্তমান' বাজারে আসে।
২০০৪ সালে না ইং গান গাওয়া ছাড়া টিভি নাটকে অভিনয়েও অংশ নেন। তার অভিনয় করা প্রেম ভিত্তিক টিভি নাটক 'আমি ভালোবাসা চাই' রিলিজ হয়।
২০০৬ সালে না ইং প্রথমবারের মত চলচ্চিত্রে অভিনয়ে যোগ দেন। তার অভিনয় করা চলচ্চিত্রের নাম 'হালকা নীল, গভীর নীল'। এরপর না ইং বিয়ে এবং সন্তান নেয়ার কারণে সঙ্গীত জগত থেকে সাময়িক বিরতি নেন।
২০০৯ সালে না ইং 'সেই ২০ বছর' নামে বিশ্বব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত মহলে ফিরে আসেন।
২০১১ সালে নয় বছর পর না ইং আবার একটি অ্যালবাম 'তাহলে' প্রকাশ করেন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় গায়িকা না ইং-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবার কথা হবে। (শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)