লি চিয়ান একটি শিল্প পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের প্রভাবে ছোটবেলা থেকে লি চিয়ান অপেরা শিখেছেন এবং কুংফুও শিখেছেন।
১৯৮৫ সালে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর লি চিয়ান একটি চলচ্চিত্রের প্রভাবে গিটার পছন্দ শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে লি চিয়ানের মা দুই মাসের বেতন দিয়ে লিচিয়ানকে ভালো একটি গিটার কিনে দেন, যাতে ছেলের সঙ্গীতের স্বপ্নকে সমর্থন করতে পারেন।
১৯৯৩ সালে উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় লি চিয়ান ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা দেশের শিল্প প্রেমীদের জন্য আয়োজিত শীতকালীন ক্যাম্পে অংশ নেন। ক্যাম্পে তিনি 'মনের কথা বলি' নামে গানটি গেয়ে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৪ সালে লি চিয়ান ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, এই সময় তিনি সহপাঠী লিয়াও চিয়ার সাথে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। একই বছর তিনি 'বেইজিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়' চ্যাম্পিয়নও হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় লি চিয়ান ছিংহুয়া কোরাস দলেও যোগ দেন।
১৯৯৬ সালে লি চিয়ান চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি'র আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সঙ্গীত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৯৮ সালে লি চিয়ান ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর লি চিয়ান চীনের রাষ্ট্রীয় রেডিও ও টেলিভিশন পরিচালনা ব্যুরোয় ইন্টারনেট প্রকৌশলীর চাকরি পান। ২০০০ সালে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীতের পথ বাছাই করেন।
২০০১ সালে লি চিয়ান কন্ঠশিল্পী লু কেং সুই-এর সঙ্গে 'সুই মু নিয়ান হুয়া' নামে একটি সঙ্গীত ব্যান্ড গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত মহলে যোগ দেন। ২০০২ সালে লি চিয়ান এই সঙ্গীত ব্যান্ড থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সঙ্গীতের উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০০৩ সালে লি চিয়ানের প্রথম ব্যক্তিগত অ্যালবাম 'পানির মত সময়' বাজারে আসে। ২০০৬ সালে লি চিয়ান 'তোমার জন্য এসেছি' অ্যালবাম নিয়ে ১২তম গ্লোবাল চাইনিজ মিউজিকের মূলভূভাগের শ্রেষ্ঠ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার পান।
২০০৭ সালে লি চিয়ানের তৃতীয় অ্যালবাম 'তোমার কথা মিস করি' প্রকাশ করেন। ২০১০ সালে লি চিয়ান 'সঙ্গীতের গৌরব' নামে অ্যালবাম নিয়ে সেই বছর মিউজিক রেডিও চীনের টপ সঙ্গীতের মূলভূভাগের শ্রেষ্ঠ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার পান।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় গায়ক লি চিয়ান-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবার কথা হবে। (শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)