১৬ জুন চীন-বাংলাদেশ 'রেশমপথ মৈত্রী ক্লাব' প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। চীনের জাতীয় গণ-কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি ভাইস চেয়ারম্যান, চীনের আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জি পিন সুয়ান, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত চাং চুও, বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ফজলুর রাব্বী মিয়া, বাংলাদেশ-চীন রেশমপথ ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া এবং চীনা পুঁজি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাসহ এক'শ ২০জনেরও বেশি ব্যক্তি এতে অংশ নেন।
চীন-বাংলাদেশ 'রেশমপথ মৈত্রী ক্লাব' প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হলো চীন-বাংলাদেশ 'এক অঞ্চল, এক পথ' সহযোগিতা উন্নত করা, চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক স্বাস্থ্যকরভাবে উন্নয়ন করা, চীনা ও বাংলাদেশ সরকার, রাজনৈতিক দল, সংসদ, গণমাধ্যম, থিঙ্ক ট্যাংক, নাগরিক সংগঠন, যুব সংগঠন, পণ্ডিত, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য সামাজিক মহলের ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলুর রাব্বী মিয়া বলেন, 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধারণ আগ্রহ তৈরি হয়েছে; যা আমাদের টেকসই উন্নয়ন, সাধারণ সমৃদ্ধি ও সাধারণ উন্নয়নে সহায়ক। 'এক অঞ্চল, এক পথ' নির্মাণে বাংলাদেশ গুরুত্ব দেয় এবং এতে সক্রিয়ভাবে জড়িত। আমরা 'এক অঞ্চল, এক পথ' কাঠামোতে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সরকারি বিনিময় এবং বেসরকারি বিনিময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে ব্যাপক সহযোগিতা আশা করি।
চীনের আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জি পিন সুয়ান বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। ২০০০ বছর আগে, দুই দেশের জনগণ প্রাচীন দক্ষিণ সিল্ক রোড এবং সামুদ্রিক সিল্ক রোডের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময় ও সাংস্কৃতিক বিনিময় শুরু করেছিল। বাংলাদেশ 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের সক্রিয় সমর্থক এবং এ কাজে অংশগ্রহণকারী। উভয় পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায়, 'এক অঞ্চল, এক পথ' কাঠামোর অধীনে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে এবং বাস্তব ফলাফল পাওয়া গেছে।
চীন-বাংলাদেশ 'রেশমপথ মৈত্রী ক্লাব'-এর বাংলাদেশ পক্ষের দায়িত্বশীল ব্যক্তি বাংলাদেশ-চীন রেশমপথ ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম এবং সিল্ক রোড ক্লাবের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও উন্নত হবে এবং 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগ বাস্তবায়নে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে।