বন্ধুরা, সম্প্রতি চীনের অনেক জায়গায় ভীষণ গরম পড়েছে এবং তাপমাত্রা দিন দিন আরো বাড়ছে। বাংলাদেশেও এক অবস্থা, তাইনা? আমরা একটি খবরের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি ভারতের কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০.৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে!
টুটুল: ৫০.৮! এত গরম!
আকাশ; হ্যাঁ। আমরা এখন এই খবর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবো।
ভারতের বিহার রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তা ১৯ জুন জানিয়েছেন, বিগত কয়েক দিনের উচ্চ তাপমাত্রায় রাজ্যটিতে ৯২বিরানব্বই জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মধ্যে বেশীর ভাগের বয়স ৫০ এর উপরে।
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে রাজ্য সরকার জনগণকে কম করে বাইরে যেতে বলেছে। স্থানীয় স্কুলও এ মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভারতের গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বিহার রাজ্যে এবারের তাপমত্রা আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি। অনেক জায়গায় তাপমাত্রা আগের বছরের চেয়ে ৫ ডিগ্রিরও বেশি।
সম্প্রতি দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশসহ অনেকে জায়গায় তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০.৮ ডিগ্রিতে পৌঁছায়। ইতিহাসে এ পর্যন্ত ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৫১ ডিগ্রি।
আকাশ: বন্ধুরা, প্রচণ্ড গরমে খুব সহজেই মানুষের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিভাবে তা প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে আমরা এখন একটু আলোচনা করবো।
টুটুল:...
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, আমরা এখন খেলাধুলার জগতে ফিরে আসি, কেমন? প্রথমে আমরা একটি খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টুটুল: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৮ জুন বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির 'চ্যাম্পিয়ন ক্লাস'-এর ছাত্রছাত্রীদের চিঠির জবাব পাঠান। ঐ চিঠিতে প্রেসিডেন্ট সি ছাত্রছাত্রীদের উত্সাহিত করেন এবং তাদের প্রতি প্রত্যাশা প্রকাশ করেন। তিনি বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির সব শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, অলিম্পিক গেমসসহ বিভিন্ন গেমসের জন্য প্রস্তুতিমূলক প্রশিক্ষণ নেয়া সব খেলোয়াড় ও কোচদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি চিঠিতে বলেন, আমি শুনেছি যে তোমরা লেখাপড়ার পাশাপাশি সব স্পোর্টসের জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকো। তা শুনে আমি খুব খুশি। তোমাদের খেলা আমি অনেক দেখেছি। প্রতিবার আমি দেখেছি আমাদের খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভালো রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন, দেশের জন্য সম্মান অর্জন করেছেন, তখন আমার মন খুশিতে ভরে ওঠে। নতুন যুগে চীনে আরো বেশি শক্তিশালী দায়িত্ববোধ ও ও সংগ্রামী চেতনা দরকার। তোমরা অব্যাহতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে, দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে বেশি অবদান রাখবে এবং সমাজের জন্য বেশি ইতিবাচক শক্তি প্রদান করবে বলে আমার বিশ্বাস।
উল্লেখ্য,২০০৩ সালে বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটিতে 'চ্যাম্পিয়ন ক্লাস' শুরু করা হয়। এতে অলিম্পিক গেমস, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবার লক্ষ্যে খেলোয়াড় ও কোচদের ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি এ ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের কাছে চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে তারা তাদের প্রশিক্ষণ ও কাজের পরিস্থিতির অবস্থা তুলে ধরেন এবং দেশের খেলাধুলা ও উন্নয়নে অবদান রাখার আগ্রহ ও প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেন।
টুটুল: বন্ধুরা, এখন আমরা চীনের জাতীয় নারী ফুটবল দলের খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ফ্রান্স অনুষ্ঠিত মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে প্রবেশের আগে চীনের জাতীয় নারী ফুটবল দল ২০ জুন ফ্রান্সে একটি সেমিনার আয়োজন করে। এই সেমিনারে তারা বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির 'চ্যাম্পিয়ন ক্লাস'-এর ছাত্রছাত্রীদের কাছে পাঠানো প্রেসিডেন্ট সি'র চিঠির চেতনার কথা স্মরণ করেন।
তারা জানান, এই চিঠির চেতনা তাদেরকে অনেক উত্সাহিত করেছে। তারা নকআউট পর্বে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন।
নারী ফুটবল দলটির ক্যাপ্টেন উ হাই ইয়ান সেমিনারে জানান, বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির 'চ্যাম্পিয়ন ক্লাস'-এর ছাত্রছাত্রীদের কাছে পাঠানো প্রেসিডেন্ট সি'র চিঠিতে প্রতিফলিত হয় যে, প্রেসিডেন্ট সি খেলাধুলার প্রতি অনেক গুরুত্ব দেন এবং কোচ ও খেলোয়াড়দের প্রতি তাঁর অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সি'র প্রত্যাশার কথা আমাদের মনে থাকবে। আমরা কঠোর প্রশিক্ষণ নেবো এবং ফুটবল বিশ্বকাপের মাঠে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে নতুন যুগে চীনের নারী ফুটবলের উজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টি করবো।
আকাশ: আশা করি তারা ভালো পারফরমেন্স করতে পারবেন। আগের প্রজন্মের চীনের নারী ফুটবলের চেতনা অব্যাহতভাবে অনুসরণ করে তারা দিন দিন সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন।
বন্ধুরা, এখন আমরা বাংলাদেশের খেলাধুলার খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?