দায়িত্বশীল অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীন বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা করতে বরাবরই আলাপ আলোচনার ওপর প্রধান্য দিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক।
তবে দু'দেশের নেতাদের ফোনালাপের পর টানা দু'দিন ধরে কংগ্রেসে মার্কিন বাণিজ্যিক প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজারের মন্তব্যে সবাই আশ্চর্যও হয়ে ওঠে। একদিকে তিনি বাণিজ্যিক সংলাপ আবার শুরু করা এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অন্যদিকে তিনি শুল্ক আরোপের সংকেতও প্রকাশ করেন। এটা সমস্যা সমাধানের আন্তরিক দৃষ্টিভঙ্গি নয় বলে চীন আন্তর্জাতিক বেতার বা সিআরআইয়ের সম্পাদকীয়তে মনে করা হয়।
বিগত এক বছরেরও বেশি সময়ের বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত হয় যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সংঘর্ষের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত চাপ চীনের কাছে একেবারেই কার্যকর নয়। এখন কার্যকর হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও কার্যকর হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের খুব স্পষ্টভাবেই চীনের কেন্দ্রীয় উদ্বেগের বিষয় বোঝা উচিত্, চীনের শেষ সীমারেখার সাথে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সমতার ভিত্তিতে সংলাপ অব্যাহত রাখলে এবং একে অপরের সঠিক উদ্বেগের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা আছে বলে সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
লিলি/টুটুল