চীন ও বাংলাদেশের 'সিল্ক রোড ক্লাব' প্রতিষ্ঠা ও 'সিল্ক রোড একই পরিবার' শীর্ষক ধারাবাহিক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঢাকায় আয়োজিত
  2019-06-18 14:46:16  cri

 

 

চীন ও বাংলাদেশের 'সিল্ক রোড ক্লাব' প্রতিষ্ঠা এবং 'সিল্ক রোড একই পরিবার' শীর্ষক বাংলাদেশের ধারাবাহিক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত রোববার রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত হয়। চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং চীনের আন্তর্জাতিক বিনিময় সমিতির প্রধান চি পিং সুয়ান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চাং চুও, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া, বাংলাদেশ-চীন রেশমপথ ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া এবং বাংলাদেশে চীনা পুঁজিবিনিয়োগকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ১২০জনেরও বেশি অতিথি এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

চীন ও বাংলাদেশের 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠাকাজের সহযোগিতা এবং চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্কের সুষ্ঠু উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য চীন ও বাংলাদেশের 'সিল্ক রোড ক্লাব' প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে চীন ও বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক পার্টি, পার্লামেন্ট, মিডিয়া, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, বেসরকারি সংস্থা, যুব কমিউনিটি, শিক্ষার্থী ও ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক মহলকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। 'সিল্ক রোড একই পরিবার' শীর্ষক ধারাবাহিক কার্যক্রমের মানবিক বিনিময় ও জীবিকা সহযোগিতা এই দুটো ক্ষেত্রের ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করা হবে। আগামী দুই বছরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সামাজিক সংস্থার মধ্যে ৫০০ গ্রুপের সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ২০০টি রকমের জীবিকা ক্ষেত্রের সহযোগিতামূলক প্রকল্পও চালানো হবে। এই কার্যক্রম ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় 'এক অঞ্চল, এক পথ' সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষফোরামের ফলাফল-তালিকায় রয়েছে। এ সম্পর্কে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন,

'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে চীন ও বাংলাদেশের জন্য যৌথ স্বার্থ বয়ে এনেছে। এটি আমাদের অবিরাম উন্নয়ন, যৌথ সমৃদ্ধি ও যৌথ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে সহায়ক। চীন একটি দায়িত্বশীল বড় দেশ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এবং আন্তর্জাতিক বিষয় মোকাবিলায় সবসময় গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে থাকে চীন। বিভিন্ন দেশের মানবিক বিনিময় ও বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করা এবং ব্যাপকমাত্রার সংলাপ চালানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকাও পালন করেছে চীন। 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠাকাজকে বেশ গুরুত্বারোপ করে এবং এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় বাংলাদেশ। আমরা আশা করি, 'এক অঞ্চল, এক পথ' কাঠামোতে চীনের সঙ্গে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সরকারি যোগাযোগ ও বেসরকারি বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা চালাবে বাংলাদেশ'।

চীনের জাতীয় গণকংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং চীনের আন্তর্জাতিক বিনিময় সমিতির প্রধান চি পিং সুয়ান তাঁর বক্তব্যে বলেন,

'চীন ও বাংলাদেশ দু'টি ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সুপ্রতিবেশী। দুই সহস্রাধিক বছর আগে, প্রাচীন দক্ষিণ রেশমপথ ও সামুদ্রিক রেশমপথের সাহায্যে দু'দেশের জনগণের আর্থ-বাণিজ্যিক বিনিময় ও মানবিক বিনিময় শুরু হয়। ২০১৩ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তঃযোগাযোগ ও আন্তঃসংযোগের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বাস্তব সহযোগিতা গভীরতর করা, মানবজাতির সম্মুখীন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করায় পারস্পরিক কল্যাণ ও যৌথ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশ হচ্ছে 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রতিষ্ঠাকাজের সক্রিয় সমর্থক ও অংশগ্রহণকারী। দু'পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় 'এক অঞ্চল, এক পথ' কাঠামোতে দু'দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে এবং এতে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। আমাদের উচিত 'সিল্ক রোড একই পরিবার' শীর্ষক ধারাবাহিক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও 'সিল্ক রোড' প্রতিষ্ঠার সুযোগে ব্যাপকভাবে বেসরকারি বিনিময় চালানো এবং জীবিকা সহযোগিতা জোরদার করা। এভাবেই চীন ও বাংলাদেশের সামাজিক ও জনমত ভিত্তি মজবুত হবে।

বাংলাদেশ ও চীনের রেশমপথ ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া বলেন, এই ধারাবাহিক কার্যক্রমের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মানবিক বিনিময় জোরদার হবে। এটি 'এক অঞ্চল, এক পথ' প্রস্তাবের বাস্তবায়নে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। (ওয়াং হাইমান/টুটুল/তুহিনা)

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040