আকাশ: বন্ধুরা, আজ বাবা দিবস। বিশ্বের সকল বাবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আমরা তাদের সুস্থ ও সুখী জীবন কামনা করি।
টুটুল: ভাই, এ বাবা দিবস কিভাবে শুরু হয়েছে?
আকাশ: বাবা দিবস প্রায় গত শতাব্দী অর্থাত্ বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে শুরু হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই দিবসের শুরু। এখন বিশ্বব্যাপী তা পালন করা হয়। কিন্তু তার সময় বা তারিখ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন।
সবচেয়ে ব্যাপকভাবে উদযাপনের তারিখ হচ্ছে প্রতি বছরের জুন মাসের তৃতীয় রোববার। বর্তমানে বিশ্বের ৫২টি দেশ ও অঞ্চল এ দিনটিতে বাবা দিবস পালন করে। দিবসটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়, যেমন- উপহার দেওয়া, পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে সুন্দর সময় কাটানো ইত্যাদি।
চীনের মূলভূখণ্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু অনেকে জুন মাসের তৃতীয় রোববার এ দিবসটি পালন করে। চীনের তাইওয়ানে অগাস্ট মাসের ৮ তারিখে বাবা দিবস পালন করা হয়।
টুটুল: ভাই, অগাস্ট মাসের ৮ তারিখে কেন? এর কারণ কি?
আকাশ: কারণ অগাস্ট চীনা ভাষায় কিভাবে বলে জানো? Ba yue, পা মানে আট, yue, মানে মাস, ba hao, মানে ৮ তারিখ। এখানে hao মানে তারিখ। এজন্য অগাস্ট ৮'র চীনা ভাষা হচ্ছে ba yue ba hao। তুমি দেখ,এখানে দুটি ba আছে, চীনা ভাষা, বাংলা ভাষাসহ অনেক ভাষায় বাবা মানে father, এজন্য এ দিনটিতে বাবা দিবস পালন করে।
টুটুল: অনেক মজার! Ba yue bai hao, বাবা দিবস।
আকাশ; হ্যাঁ।বন্ধুরা, আগে আমরা মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছি, মনে আছে? আসলে মা-বাবা তারা দুজনেই আমাদের জীবনের সবচেয়ে আপন মানুষ, সবচেয়ে কাছের মানুষ। তারা আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছেন। তারা হচ্ছেন এ পৃথিবীতে আমাদের সবচেয়ে বেশি আদর করার মানুষ। মা-বাবার কথা বললে মনে অনেক অনুভূতি তৈরি হয়।
ছোটবেলায় আমরা অনেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকসহ কত কি হতে চাই। কিন্তু এখন যদি কেউ জিজ্ঞাস করেন, তোমার স্বপ্ন কি? আমরা অনেকে অবশ্যই বলবো, পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকা এবং মা-বাবার সুস্থ, সুন্দর জীবন কামনা করা, তাইনা? আমাদের স্বপ্ন পরিবর্তন হয়েছে। অথবা আমরা বলতে পারি, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ধীরে ধীরে জীবনের অর্থ বুঝতে পেরেছি, বুঝতে পেরেছি জীবনে কি কি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আবারো আমরা বিশ্বের সকল বাবার সুস্থ, সুন্দর ও সুখী জীবন কামনা করি।
টুটুল:.....
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, এখন আমরা পিং পং অর্থাত্ টেবিল টেনিস সম্পর্কিত একটি খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?
টুটুল: ২০১৯ আইটিটিএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর হংকং ওপেনে চীনা দলের চারটি ইভেন্টে জয়লাভ
জুন ১১: ২০১৯ ইন্টারন্যাশনাল টেবিল টেনিস ফেডারেশন (আইটিটিএফ) হংকং ওপেন ৯ জুন সমাপ্ত হয়েছে। এতে চীনা দল চারটি ইভেন্টে জয়লাভ করে।
৯ জুন পুরুষদের সিঙ্গেলস ফাইনালে চীনের খেলোয়াড় লিন কাও ইয়ান ৪:২ পয়েন্টে জাপানের খেলোয়াড় হারিমোতো তোমোকাজুকে পরাজিত করেন। লিন কাও ইয়ান জানান, এবারের জয়ের মাধ্যমে নিজের মান অনেক উন্নত হয়েছে। এর পাশাপাশি নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজের অবস্থান আরো উন্নত করা উচিত। তিনি বলেন, "সবাই ফাইনালে সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়, এবার আমার পারফর্মেন্স একটু ভাল। জয় লাভ করায় মন অনেক খুশি, কিন্তু খেলার মাধ্যমে নিজের সুবিধা-অসুবিধাগুলো দেখেছি আশা করি, আগামী খেলাতে নিজের সমস্যা খুঁজতে পরব এবং উন্নতি করতে পারব।"
পুরুষদের ডাবলস ফাইনালে চীনের খেলোয়াড় লিয়াং চিং খুন ও লিন কাও ইয়ান ৩:১ পয়েন্টে দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়দের পরাজিত করেন। চীনের খেলোয়াড় লিয়াং চিং খুন সাংবাদিককে বলেন, তিনি এবং লিন কাও ইয়ান অনেক বার একসাথে সহযোগিতা করেছেন, অনেক অভিজ্ঞতার কারণে তারা এবার জয় লাভ করেছেন। পরে তিনি এবং লিন কাও ইয়ান আবার সহযোগিতা করে একসাথে জাপান ওপেনে খেলবেন।
তিনি বলেন, "আমি মনে করি আমাদের পারফর্মেন্স ভালো, আমরা আগে দুই, তিন বার সহযোগিতা করেছি, এবার হংকং ওপেন পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতা উন্নত হচ্ছে। আশা করি জাপান ওপেনে আবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো, চেষ্টা করবো প্রতিটি খেলা ভালোভাবে খেলতে।"
নারীদের সিঙ্গেলস ফাইনালে চীনের খেলোয়াড় ওয়াং ই তি এবার খেলার জন্য অনেক প্রস্তুতি নেন। তিনি তার প্রতিযোগী জাপানের ইতো মিমাতোর খেলা অনেক গবেষণা করে তাকে ৪:০ পয়েন্টে পরাজিত করেন। কিন্তু আগের চীনা ওপেনে তিনি মিমাতোর কাছে ৩:৪ পয়েন্ট পরাজিত হন। এবার জয়ের মাধ্যমে তিনি মনে করেন নিজের আত্মবিশ্বাস উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, "গতবার আমি পরাজিত হই, তিনি আমার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন, এজন্য এবার আমি অনেক প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার খেলার মাধ্যমে আমার আত্মবিশ্বাস উন্নত হয়েছে।"
নারীদের ডাবলস ফাইনালে চীনা খেলোয়াড় ছেন কে ও মু চি ৩:১ পয়েন্টে দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়দের পরাজিত করেন। ছেন কে ও মু চি জানান, এবার খেলার মাধ্যমে দু'জন অনেক উন্নতি করেছেন। ছেন কে বলেন, "আমি মু চির কাছ থেকে অনেক শিখেছি, তাঁর বয়স আমার চেয়ে বেশি, আমাকে অনেক শিখিয়েছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন।" মু চি বলেন, "আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে যোগাযোগ অনেক ভালো, তাঁর সাথে সহযোগিতার পর, আমার দায়িত্বের ধারণা অনেক বেড়ে গেছে।"
এদিকে ৮ জুন মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে চীনের থাই পেই দলের খেলোয়াড় ৩:০ পয়েন্টে দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়দের পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।
সংগীত
টুটুল: বন্ধুরা, অনুষ্ঠান শেষে আমরা আপনাদের একটি গান শোনাবো, গানের নাম 'বাবা'।
আকাশ: বন্ধুরা, এ গানটি আমি প্রথমে শুনি বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসে। চীনের বসন্ত উত্সব উপলক্ষে দূতাবাসে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানটি শুনি। তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা। এ গানটি বিশ্বের সকল বাবাকে এখন উত্সর্গ করছি।
গানটির কথা প্রায় এরকম,
সবসময় তোমার কাছ থেকে শুধু নিতে থাকি,
কিন্তু কখনোই 'ধন্যবাদ' বলিনা।
বড় হওয়া পর, তোমার জীবনের অনেক কঠিন বিষয় বুঝতে পেরেছি।
প্রতি বার তোমাকে ছেড়ে আসার সময়, সবসময় 'সহজ' হওয়ার ভান করার মতো হেসে হেসে বলি, "তুমি ফিরে যাও"
যখন আমি পিছনে ফিরি, চোখ থেকে পানি পড়ে।
আমি আগের মতোই তোমার উষ্ণ হাত ধরতে চাই।
কিন্তু তুমি আমার পাশে নেই, বাতাসের মাধ্যমে তোমাকে আমার শুভেচ্ছা পাঠাতে চাই: "তুমি সুস্থ ও সুখে থাকো"
সময়, সময়, দয়া করে ধীরে চলো,
তোমাকে আরো পুরোনো হতে দিওনা
আমার জীবনে আমি কিছুই চাইনা, শুধু তুমি পুরোনো হোয়োনা
সারা জীবন সর্বোচ্চ চেষ্টা করার বাবা, আমি তোমার জন্য কি করতে পারবো?
আমার সামান্য যত্ন, তুমি গ্রহণ করো
তোমার সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
তোমার দুটি হাতে আমাদের বাড়ি ধরে রাখা
তুমি সবসময় সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আমাকে শ্রেষ্ঠ জিনিস দিয়েছো
আমি তোমার গর্ব?এখনো আমাকে নিয়ে চিন্তিত?
তোমার মনে পড়ার ছেলে এখন বড় হয়েছি,
ধন্যবাদ, সারা পথে তুমি আছো ।