বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর বিগত ২৭ বছর ধরে চীন ও কিরগিজস্তানের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা গড়ে উঠেছে। দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাও অনেক উন্নত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে কিরগিজস্তান যে-সাফল্য অর্জন করেছে, চীন তার প্রশংসা করে।
সি চিন পিং আরও বলেন, চীন কিরগিজস্তানের সঙ্গে দেশ-প্রশাসনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে ইচ্ছুক। পাশাপাশি দেশটির সঙ্গে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক আরও উন্নত করতেও চায় চীন। দু'দেশের উচিত শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং সিআইসিএ-র কাঠামোয় বহুপক্ষবাদের পক্ষে থাকা ও একপক্ষবাদের বিরোধিতা করা।
জবাবে ঝিনবেকভ তার দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট সি-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সিনচিয়াংয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় চীন সরকার যে-সব উদ্যোগ নিয়েছে, কিরগিজস্তান তাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতেও চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায় কিরগিজস্তান। পাশাপাশি, কিরগিজস্তান চীনের সঙ্গে 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিন্ন কল্যাণের লক্ষ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)