নিবন্ধে তিনি বলেন, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ শুধু দু'দেশের জন্য নয়, বরং বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে মার্কিন আধিপত্যবাদ বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং বিশ্বের শিল্প-চেইন ও সরবরাহ-চেইনের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।
মা চাও সু লিখেছেন, বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, হুয়াওয়েই'র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় শক্তির ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত 'প্যারিস চুক্তি' ও ইরান-পরমাণুচুক্তি থেকে রেড়িয়ে আসা, জাতিসংঘের 'এজেন্ডা ২০৩০' টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করা, এবং 'আদ্দিস আব্বা অ্যাকশান এজেন্ডা' প্রত্যাখ্যান করার মাধমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে চলেছে। দেশটি ইউনেস্কো ও জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মোদ্দাকথা, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং জাতিসংঘের ক্ষমতা ও মর্যাদাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বসেছে।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, বহুপক্ষবাদে অবিচল থাকা আর সহযোগিতার মাধ্যমে স্বার্থ অর্জন করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিন্ন স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। অর্থনীতির বিশ্বায়নের প্রবণতা পরিবর্তন করা যাবে না। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নীরব থাকাও কাজের কাজ নয়। কারণ, যে-কোনো দেশ এমন নেতিবাচক আচরণের শিকার হতে পারে। (সুবর্ণা/আলিম/ওয়াং হাই মান)