আকাশ: টুটুল, তুমি চীনের কোন কোন স্পোর্টস সবচেয়ে বেশি পছন্দ করো।
টুটুল: ....
আকাশ: হাহা আসলে চীনের অনেকে তোমার মত চীনা নারী ভলিবল দলের খেলা ভীষণ পছন্দ করেন, আমিও। তাদের কোচের নাম লাং পিং, তুমি তাকে জানো? হ্যাঁ। তিনি আগে চীনা নারী ভলিবল দলের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। তাদের ওই প্রজন্মের চীনা নারী ভলিবল দল অনেক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন এবং দেশের জন্য অনেক সুনাম অর্জন করেন।
বন্ধুরা, আমরা তাদের নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরি করবো, কেমন? প্রথমে আমরা চীনা নারী ভলিবল দল সম্পর্কিত একটি খবর আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
টুটুল: বন্ধুরা, ৩১ মে চীনের নারী ভলিবল দল ম্যাকাও থেকে হংকং-চুহাই-ম্যাকাও সেতুর মাধ্যমে হংকংয়ে পৌঁছায়। তারা এফআইভিবি ভলিবল নেশন্স লিগ হংকং ২০১৯-এ অংশ নেবেন। এই লিগ ৪ থেকে ৬ জুন হংকং স্পোর্টস স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে। চীন, ইতালি, জাপান ও হল্যান্ডের প্রতিনিধিদল এতে অংশগ্রহণ করবে।
জানা গেছে, এফআইভিবি ভলিবল নেশন্স লিগ ম্যাকাও ২০১৯-এ অংশ নেয়ার পর, ৩১ মে চীনের নারী ভলিবল দল ম্যাকাও থেকে হংকং-চুহাই-ম্যাকাও সেতুর মাধ্যমে হংকংয়ে পৌঁছায়।
প্রথম বারের মত এই সেতুর মাধ্যমে হংকংয়ে পৌঁছানোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে দলটির কোচ লাং পিং বলেন, "আমার অনুভূতি অনেক চমত্কার! প্রথমত, অনেক সুবিধা, আমি ১৯৯০ সালের দিকে ম্যাকাও ও হংকংয়ের মধ্যে নৌযানে করে যাওয়া আসা শুরু করতাম। তখন দলটির অনেক লাগেজ ছিলো, এখনকার মতো এতো সুবিধা ছিলো না। আজ প্রথম বার আমি এ সেতুর মাধ্যমে এসেছি, আমি অনেক গ্রেট কিছু অনুভব করছি। এটি অনেক আরামদায়ক, এবং দ্রুত! আমরা সবাই বিস্মিত...."
চীনের ভলিবল দল এফআইভিবি ভলিবল নেশন্স লিগ হংকং ২০১৯-এ অংশগ্রহণকারী চারটি দলের মধ্যে প্রথমে হংকংয়ে পৌঁছায়। ১ জুন তারা প্রশিক্ষণ শুরু করে এবং হংকংয়ের স্থানীয় ভলিবল খেলোয়াড় ও ভক্তদের জন্য কিছু আদান-প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। অন্য ৩টি দলও ১ জুন পৃথক পৃথকভাবে হংকংয়ে পোঁছায় এবং প্রশিক্ষণ শুরু করে।
চীনা দলের কোচ লাং পিং প্রত্যাশা করেন, নারী ভলিবল খেলোয়াড় সুষ্ঠুভাবে খেলতে পারবেন এবং সহযোগিতা জোরদার করে তাদের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণ করবেন। লাং পিং বলেন, "এবারের খেলায় সব দল অনেক শক্তিশালী, এজন্য আমাদের নিজেদের উন্নতি করতে হবে। আমরা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি, আশা করি খেলোয়াড়দের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হবে। প্রযুক্তির খাতে আমাদের নিজেদের লক্ষ্যও আছে, আশা করি আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড় পারফর্মেন্সের উন্নতি করতে পারবে।"
চীনের নারী ভলিবল দলটির ক্যাপ্টেন চু থিং হচ্ছেন এ বারের খেলার কেন্দ্রবিন্দু। অন্য দলগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, এবারের এ লিগের প্রতিটি দলের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।
তিনি বলেন, "আমার ধারণা হচ্ছে, এ তিনটি দলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে। জাপানের দলের সবাই অনেক দ্রুত, ডিফেন্স অনেক ভাল; হল্যান্ডের দলটি সব দিকে ভাল; ইতালির দলটির অনেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য অসাধারণ। এজন্য প্রতিটি দলের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে"।
চু থিং জানান, এখন লক্ষ্য হচ্ছে ভালভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া, কোচের খেলার কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে চেষ্টা করা। তিনি আরো জানান, প্রতিবছর হংকংয়ে এসে প্রতিযোগিতা করার সময়, হংকংয়ের ভক্তরা দেশের দলটিকে অনেক সমর্থন করেন। তিনি আশা করেন তার দল ভালো ফলাফল তৈরি করতে পারবেন, যাতে ভক্তদের পুরস্কৃত করা যায়।
আকাশ: বন্ধুরা, চীনের নারী ভলিবল দলটি ১৯৮১ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, ১৯৮২ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন, ১৯৮৪ সালে লসঅ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসে চ্যাম্পিয়ন, ১৯৮৫ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, ১৯৮৬ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়। তখন তারা "নারী ভলিবলের স্পিরিট" সৃষ্টি করেন। তাদের সংগ্রাম এবং অধ্যবসায় চীনের প্রজন্মের পর প্রজন্মকে উত্সাহিত এবং অনুপ্রাণিত করে আসছে। ভাই, তুমি চীনা নারী ভলিবল সম্পর্কে কিছু বলবে?
টুটুল:...
সংগীত
আকাশ: বন্ধুরা, এখন আমরা বাংলাদেশের খেলাধুলা সম্পর্কিত কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কেমন?