সুন নান একটি শিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন সঙ্গীত শিক্ষক। তার মা, বড় বোন, বড় ভাই সবাই নৃত-সঙ্গীত দলের সদস্য। এমন পরিবারের প্রভাবে সুন নান ছোটবেলা থেকেই পিয়ানো এবং গিটার বাজানো শিখতে শুরু করেন। পরে নিজে সঙ্গীত ব্যান্ডও গঠন করেন।
উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাস করার পর সুন নান সঙ্গীতের পথ বাছাই করেন। তখন চীনে হংকং ও তাইওয়ানের সঙ্গীত স্টাইল বেশ জনপ্রিয়। সুন নান এমন পপ সঙ্গীতকে খুব পছন্দ করেন। তাই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পপ সঙ্গীত শিখে ফেলেন। ১৯৮৭ সালে সুন নান চীনের কয়লা-খনি শিল্পী দলে যোগ দেন।
১৯৯০ সালে সুন নানের প্রথম অ্যালবাম 'সুন্দর চাঁদ' প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে সুন নান আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত মহলে যোগ দেন।
১৯৯৩ সালের মে মাসে সুন নান আনুষ্ঠানিকভাবে হংকংয়ের মিউজিক ইমপ্যাক্ট এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডে যোগ দেন। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার অ্যালবাম 'দক্ষিণ মেরুর আলো' প্রকাশিত হয়।
২০০১ সালের এপ্রিল মাসে তার আরেকটি অ্যালবাম 'সুন নানের শ্রেষ্ঠ গান' রিলিজ হয়। ২০০৪ সালের ১৪ জানুয়ারি, সুন নান আনুষ্ঠানিকভাবে 'ওয়ার্নার মিউজিক'-এ যোগ দেন। নতুন সঙ্গীত কোম্পানিতে যোগ দেয়ার পর সুন নান নতুন অ্যালবাম 'জ্বলা' প্রকাশ করেন।
২০০৭ সালের মে মাসে সুন নান আবারও একট অ্যালবাম 'ভুলে যাওয়া যায় না' প্রকাশ করেন। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যালবাম 'আনন্দ' বাজারে আসে।
২০১০ সালে চীনের কুয়াং চৌ শহরে ১৬তম এশীয় গেমস আয়োজিত হয়। সুন নান এবং চীনের বিখ্যাত গায়িকা মাও আ মিন একসাথে এশীয় গেমসের থিমসং 'আবার মিলন' পরিবেশন করেন। একই বছর সুন নান চীনের প্রতিবন্ধী কমিশনের দাতব্য দূত এবং চীনের উন ছুয়ান ভয়াবহ ভূমিকম্পের দাতব্য দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১২ সালে সুন নানের অ্যালবাম 'যাত্রা' বাজারে আসে। ২০১৫ সালে সুন নান চীনের সিসিটিভি'র বসন্ত উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠার যোগ্যতা পেয়ে 'সাহায্য' নামে একটি গান পরিবেশন করেন।
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ, সুন নান চীনের হুনান প্রদেশের হুনান টেলিভিশনের সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠান 'আমি গায়ক'-এর তৃতীয় পর্বে যোগ দেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সুন নান চীনের জিয়াং সু প্রদেশের জিয়াংসু টেলিভিশনের সঙ্গীত প্রতিযোগিতা 'মাস্কড কিং'- এ যোগ দিয়ে অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হন।
২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি চীনের সিসিটিভি'র লণ্ঠন উত্সবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সুন নান অংশ নেন।
২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি, সুন নান ২০১৭ সালে চীনের ৩০ জন দাতব্য ব্যক্তিদের তালিকায় নির্বাচিত হন।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে মূলত আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় গায়ক সুন নানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তার কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে।
আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবার কথা হবে। (শুয়েই/টুটুল/সুবর্ণা)