প্রেসিডেন্ট সি 'অন্তরঙ্গ বন্ধু' হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক বর্ণনা করেন। পুতিন প্রেসিডেন্ট সিকে 'ভালো বন্ধু', 'নির্ভরযোগ্য অংশীদার' হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ছয় বছরের মধ্যে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৮ বার বৈঠক করেছেন। এত ঘনিষ্ট বিনিময় শুধু দু'দেশের সম্পর্কের বিশেষ প্রতিফলন করেছে তা নয়, উভয় দেশের কূটনীতিতে পরস্পরের অগ্রাধিকারও তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৩ সালের মার্চ মাসে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পুতিন হলেন তাঁর সঙ্গে ফোনালাপ করার প্রথম বিদেশি নেতা। রাশিয়াও চীনের প্রেসিডেন্টের সফর করা প্রথম দেশ। চীন-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, দু'দেশের সম্পর্ক হল বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম। তাও সবচেয়ে ভালো বড় দেশের সম্পর্কের অন্যতম। পুতিন এমন মূল্যায়নও করেছেন যে, রাশিয়ার একটি সমৃদ্ধ এবং স্থিতিশীল চীন দরকার, চীনের একটি শক্তিশালী এবং সফল রাশিয়া দরকার।
২০১৬ সালে 'চীন-রাশিয়া সহাবস্থান এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চুক্তি' স্বাক্ষরের ১৫ বছর পূর্তিতে সি চিন পিং ও পুতিন বেইজিংয়ে বৈঠক করেন। সি চিন পিং উল্লেখ করেন, এই চুক্তির মাধ্যমে দু'দেশের জোটনিরপেক্ষতা এবং তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে নয় এমন নতুন ধরনের দেশের সম্পর্ক আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। তা ২১ শতাব্দীতে দু'দেশের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য আইনগত ভিত্তি স্থাপন করেছে।
২০১৮ সালের ৮ জুন, বেইজিংয়ে গণ-মহাভবনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং পুতিনকে চীনের প্রথম বৈদেশিক সর্বোচ্চ মর্যাদার পদক 'মৈত্রী পদক' প্রদান করেন। পুতিন বলেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দু'দেশের সম্পর্কের সমৃদ্ধির জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালাবেন।
(শুয়েই/টুটুল/আকাশ)