বন্ধুরা, শুনছিলেন ইয়াং ফেই আন'র কন্ঠে 'বিশ্বাস করি' নামের গান। এখন আমি আপনাদের সামনে মালয়েশিয়ায় একজন চীনা প্রবাসী কন্ঠশিল্পীর পরিচয় তুলে ধরবো। তিনি হলেন উ ছি স্যিয়ান। ১৯৬৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী, সংগীত-প্রযোজক ও টিভি হোস্ট। ১৯৮৫ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি তাইওয়ানে সংগীত নিয়ে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি একই সময় তাইওয়ান ও মালয়েশিয়া থেকে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনেতা হিসেবে হংকং ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডজের শ্রেষ্ঠ নতুন অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ সাল থেকে তিনি টিভি হোস্টের কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি সংগীত প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'বসন্তকালের জলপ্রবাহ' নামের গান শোনাবো। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন উ ছি স্যিয়ান'র কন্ঠে 'বসন্তকালের জলপ্রবাহ' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে 'লিয়াংচু' শীর্ষক গান শোনাবো। লিয়াংচু হল চীনের প্রাচীনকালের একটি আশ্চর্য সুন্দর প্রেমের গল্প। লিয়াং হল গল্পটি'র নায়ক লিয়াং শান বো এবং চু হল নায়িকা চু ইং থাই। গল্পটি চীনের 'রোমিও এন্ড জুলিয়েট' বলে পরিচিতি লাভ করে। গানটি গেয়েছেন তাইওয়ানের কন্ঠশিল্পী উ ছি লং। তিনি ১৯৭০ সালের ৩১ অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন কন্ঠশিল্পী, অভিনেতা, ও সংগীত প্রযোজক। ১৯৮৮ সালে তিনি সংগীত গ্রুপ 'লিটল টাইগার'-এর (Little Tiger) একজন সদস্য হিসেবে সংগীতজগতে প্রবেশ করে। আশা করি, আপনারা তাঁর কন্ঠে 'লিয়াংচু' নামের গান পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন উ ছি লংয়ের কন্ঠে 'লিয়াংচু' নামের গান। এখন আমি আপনাদেরকে একটি চীনা লোকগান শোনাবো। গানের শিরোনাম 'নদীতে জাহাজের গান'। গেয়েছেন চীনের বিখ্যাত টেনর গায়ক উ ইয়ান জে। তিনি ১৯৪০ সালের ৪ মার্চ শানতুং প্রদেশের জিবো শহরের বোশান এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন চীনের জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্য, চীনা সংস্কৃতি ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান, চীনা সংগীত সমিতির চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক, জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা ও লোকসংগীত শিল্পী। চলুন, আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো।
বন্ধুরা, শুনছিলেন উ ইয়ান জে'র কন্ঠে একটি চীনা লোকসংগীত। খেনদিন চীনের তাইওয়ানের ফিংদং জেলায় অবস্থিত। খেনদিনের পশ্চিম দিকে প্রশান্ত মহাসাগর ও তাইওয়ান প্রণালী, দক্ষিণ দিকে বাশি প্রণালী। এখানে খুবই সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। অনেক পর্যটককে আকর্ষণ করে এসব দৃশ্য। 'খেনদিনের বাতাস' নামের গানে এখানকার সুন্দর দৃশ্যের বর্ণনা ও প্রেমের গল্প বলা হয়েছে। গেয়েছেন কন্ঠশিল্পী উ চি নিং। তিনি হলেন তাইওয়ানের ৯২৯ নন্দনকানন ব্যান্ডের প্রধান গায়ক। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন উ চি নিংয়ের কন্ঠে 'খেনদিংয়ের বাতাস' নামের গান। এখন আমি আপনাদের সামনে তাইওয়ানের আরেকজন কন্ঠশিল্পীর পরিচয় তুলে ধরবো। তিনি হলেন স্যিয়াও হুয়াং ছি। তিনি ১৯৭৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অন্ধ ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি তাইওয়ানের দশজন শ্রেষ্ঠ যুবকের একজন হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে তিনি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনাম 'তুমি হলে আমার চোখ'। ২০১০ সালের ২৬ জুন তিনি ২১তম তাইওয়ানের গোল্ডন ম্যালডি অ্যাওয়ার্ডজের শ্রেষ্ঠ মিন্নান ভাষার পুরুষ কন্ঠশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে 'শরত্কালের মিসিং' নামের গান শোনাবো।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়ান। (ছাই/আলিম/সুবর্ণা)