১. চীন সরকার ২০১৮ সালে দেশের স্বাস্থ্যখাতে ১.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (২২২০০ কোটি মার্কিন ডলার) ব্যয় করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৮৪ বিলিয়ন ইউয়ান বেশি। সম্প্রতি 'হেলথ্ নিউজ' এ খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, চীনে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়েছে মোট ৫.৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এক্ষেত্রে বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ১১.৭ শতাংশ।
২. চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন চীনা টেক জায়ান্ট হুয়াওয়েই-কে দমনে অযৌক্তিকভাবে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করছে। এ আচরণ এক ধরনের অর্থনৈতিক তর্জন। সম্প্রতি কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে অনুষ্ঠিত শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াং ই বলেন, বর্তমানে মার্কিন প্রশাসন চীনের বৈধ উন্নয়নের অধিকার স্বীকার করতে চায় না; উল্টো চীনের উন্নয়ন-প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চায়। হুয়াওয়েইর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তার প্রমাণ। কিন্তু মার্কিন একতরফা অন্যায় আচরণ আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থন পাবে না।
ওয়াং ই আরও বলেন, এবারের সম্মেলনে যেই যৌথ ইশতাহার প্রকাশিত হয়েছে, তাতে একতরফাবাদ ও বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। ইশতাহারে আরও বলা হয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতি ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কল্যাণমূলক সহযোগিতাকে প্রমোট করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সব ধরনের বৈষম্যমূলক আরচণ প্রতিরোধ করতে হবে।
৩. চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, বিশকেকে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে তিনি চীন-মার্কিন বাণিজ্য-সংঘাতে চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলো চীনের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। তিনি সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
ওয়াং ই বলেন, চীন-মার্কিন বাণিজ্য-সংঘাত আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের যৌক্তিক দাবিকে অগ্রাহ্য করে চলেছে। মার্কিন প্রশাসন একতরফা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চীনকে বশে আনতে চায়।
ওয়াং ই জানান, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ যৌথ-ঘোষণায় একতরফাবাদ ও বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে।
৪. গেল বছর চীন-মার্কিন বাণিজ্য-সংঘাত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার বার এমন অভিযোগ করা হচ্ছে যে, বাণিজ্যের অন্তরালে চীন মার্কিন কোম্পানিগুলোকে উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসতে বাধ্য করছে। এ প্রসঙ্গে চীনা বিশেষজ্ঞ ও পন্ডিতরা বলছেন, মার্কিন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চীন সেদেশের কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করছে—এমন ধারণা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র এ অজুহাতে চীনের উন্নয়ন-প্রক্রিয়াকে দমন করতে চায়। চীনের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ আইন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে এবং চীন সকল কোম্পানির মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ করে থাকে।
বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় উন্নয়ন গবেষণালয়ের অবৈতনিক প্রধান লিন ই ফু বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলো উন্নত প্রযুক্তি চীনের বাজারে আনছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের স্বাভাবিক নিয়মে। তিনি বলেন,
"মার্কিন কোম্পানিগুলো উন্নত প্রযুক্তি চীনে বিনিয়োগ করে। চীন এজন্য তাদের বাধ্য করেনি। মার্কিন কোম্পানিগুলো চীনে উত্পাদন করতে চায়, চীনা বাজারে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি ছাড়া, তাদের পণ্য প্রতিযোগিতামূলক হবে না। উদাহরণস্বরূপ, চীন বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি উত্পাদনকারী দেশ এবং বৃহত্তম গাড়ি-বাজারও বটে। মার্কিন কোম্পানি ছাড়া, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোও চীনে গাড়ি উত্পাদন করে ও বিক্রয় করে। যদি মার্কিন গাড়ি-কোম্পানি চীনে তাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার না-করে, তবে চীনারা তাদের গাড়ি কিনবে না। আমরা জানি, আমেরিকার জেনারেল ও ফোর্ড কোম্পানি এখন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে চীনে বেশি গাড়ি উত্পাদন করছে। তাদের মুনাফার অধিকাংশই আসছে চীনা বাজার থেকে। তাই নিজেদের স্বার্থেই তাদেরকে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে চীনে উত্পাদন করতে হচ্ছে। এটা 'বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি স্থানান্তর' নয়।"
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকার জেনারেল কোম্পানি ২০১৭ সালে ৪০ লাখের বেশি গাড়ি বিক্রয় করে এবং চীন টানা ৬ বছর এ কোম্পানির বৃহত্তম বাজার। বিশেষজ্ঞ বলেন, "চীন সবসময় নিজেদের উদ্যোগে নবায়ন ও উদ্ভাবনের সামর্থ্যর ওপর গুরুত্ব দেয়। ২০০০ সাল থেকে, চীনের গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বার্ষিক গড়ে ২০ শতাংশ হারে বেড়েছে এবং ২০১৭ সালে এ খাতে বিনিয়োগ হয় ১.৭৬ ট্রিলিয়ান ইউয়ান, যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগ। গবেষণাব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি চীন মেধাস্বত সংরক্ষণব্যবস্থাও জোরদার করে। ২০০১ সাল থেকে চীনের বৈদেশিক মেধাস্বত সংরক্ষণসংশ্লিষ্ট লেনদেন দ্রুত বাড়ছে। ২০০১ সাল থেকে চীনের বৈদেশিক মেধাস্বত সংরক্ষণসংশ্লিষ্ট লেনদেন বার্ষিক গড়ে ১৭ শতাংশ হারে বেড়েছে এবং এ খাতে মেধাস্বত্ব ফি বাবদ চীন ২০১৭ সালে ২৮৬০ কোটি ডলার ব্যয় করে। এদিকে, ২০১৭ সালে চীনের পেটেন্ট অধিকার আবেদন ১৩ লাখের বেশি ছিল। পেটেন্ট আবেদনের সংখ্যার দিক দিয়ে চীন বিগত ৭ বছর ধরে বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। এর মধ্যে আবেদকদের মধ্যে ১০ শতাংশ বিদেশি ব্যক্তি বা কোম্পানি। চীনে বিদেশিদের পেটেন্ট অধিকার আবেদন ২০০১ সালের চায়ে ৩ গুণ বেশি হয়।"
চীনা সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি গবেষণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য গবেষণা অফিসের পরিচালক রেন তুং ইয়ান মনে করেন, প্রযুক্তি স্থানান্তরে চীন মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করছে—এমন অভিযোগ আসলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অর্থনৈতিক কৌশল। তিনি বলেন, "চীনের কোনো আইনের ধারা অনুসারেই মার্কিন কোম্পানিগুলো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসতে বাধ্য নয়। বরং চীনে বিনিয়োগকারী মার্কিন কোম্পানিগুলো অর্থনীতির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কিছু চাপের সম্মুখীণ হচ্ছে। যেমন, আগে অনেক বিদেশি কোম্পানি চীনে বিনিয়োগ করলে শুল্ক বা জমি ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা ভোগ করতো। এখন তেমন সুবিধা কম। পাশাপাশি, বিদেশি কোম্পানিগুলোকে চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে, চীনের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ করা অর্থহীন।"
৫. অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) বলেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ও আর্থিক দুর্বলতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বাধা সৃষ্টি করবে। সম্প্রতি প্যারিসে প্রকাশিত সংস্থার সর্বশেষ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রিপোর্টে এ মন্তব্য করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৩.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে এবং ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৪ শতাংশ। তা ছাড়া, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির হার ২.১ শতাংশে নেমে যাবে, যা বিগত দশ বছরে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি।
একইদিনে ওইসিডি'র মহাপরিচালক অ্যাঞ্জেল গুরিয়া এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বাণিজ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। এতে পুঁজি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয় এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬. চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কারের জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈশ্বিক বাণিজ্যবিষয়ক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে চারটি ক্ষেত্রে সংস্কার করার কথা বলেছে চীন। এই চারটি ক্ষেত্র হচ্ছে: প্রথমত, প্রধান ও জরুরি সমস্যাগুলি সমাধান করা, যেসব সমস্যা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে; দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি করা; তৃতীয়ত, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কার্যদক্ষতা উন্নত করা; এবং চতুর্থত, বহু-পক্ষীয় বাণিজ্যব্যবস্থার কার্যকারিতা বাড়ানো।
কর্মকর্তা আরও বলেন, চীন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তার প্রস্তাবনা নিয়ে আরও মতবিনিময় করতে ইচ্ছুক।
৭. জি-২০ বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আগামী ৮ ও ৯ জুন জাপানে অনুষ্ঠিত হবে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাও ফেং সম্প্রতি বেইজিংয়ে বলেন, চলতি বছরের জি-২০ বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উন্নয়ন, ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, টেকসই ও সমেত প্রবৃদ্ধি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সংস্কার, এবং বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনীতির প্রধান ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
মুখপাত্র বলেন, সম্মেলনে বহুপক্ষবাদ ও অবাধ্য বাণিজ্যের পক্ষে এবং একতরফাবাদ ও বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে চীন। পাশাপাশি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য প্রস্তাব দেবে।
কাও ফেং আরও বলেন, ই-কমার্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে আরও সক্রিয়, স্বচ্ছ ও পূর্বাভাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করার ওপর চীন গুরুত্বারোপ করবে।
৮. চীনে হংকংয়ের ২৪ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী-প্রতিনিধিদল গত ২৩ থেকে ২৫ মে বাংলাদেশ সফর করে। হংকংয়ের 'চীনা উৎপাদক সংস্থা'র সদস্যদের এই দলটি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-র আমন্ত্রণে এ সফরে আসে। 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান করাই ছিল সফরের উদ্দেশ্য।
গত ২৫ মে বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেলে বিডা আয়োজিত একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করে প্রতিনিধিদলটি। সেমিনারে বিডা'র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজি এম আমিনুল ইসলাম বলেন, হংকংয়ের সামর্থ্য আছে এবং বাংলাদেশের আছে সম্ভাবনা। এই সফর দু'পক্ষের জন্যই অনেক সুযোগের পথ খুলে দেবে।
প্রতিনিধিদলের প্রধান ও হংকংয়ে চীনা উৎপাদকদের সংস্থার প্রেসিডেন্ট ড. ডেনিস বলেন, উৎপাদন ও রফতানির বাইরেও, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের শ্রমিকরা দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ।
তিনি জানান, গাজিপুরে একটি চীনা কোম্পানির কারখানা পরিদর্শনকালে স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে প্রতিনিধিদলটির সম্যক ধারণা জন্মেছে। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আসা সাংবাদিকরা হংকংয়ের গিয়ে বাংলাদেশের গল্প বলবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সফরকালে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে এবং বেজা, বেপজা ও হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মত বিনিময় করে।
(আলিমুল হক)