সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বর্তমানে চীনের অর্থনীতি দ্রুত গতি থেকে উচ্চ মানে উন্নীত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী শিল্প চেইন ও মূল্য চেইনে চীনা অর্থনীতির অবস্থা ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে। জুতো-পোশাকসহ প্রান্তিক পর্যায়ের উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অন্য দেশে স্থানান্তরিত হওয়া শিল্প খাতের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি বাজারের নিয়মিত অবস্থা।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েও মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশে ফিরিয়ে নিতে পারেনি। এর কারণ হলো, চীনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ প্রধানত টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক কাঁচামাল এবং রাসায়নিক পণ্যসহ উচ্চ মানের উত্পাদন শিল্পে। বিশ্বের বেশিরভাগ শিল্প খাতের একমাত্র দেশ হিসেবে চীনে সম্পূর্ণ সরবরাহ চেইন ও শিল্প চেইন রয়েছে; ব্যাপক প্রযুক্তিগত কর্মী ও শ্রমিক রয়েছে। এটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ অনেক হ্রাস করে। যেমন, মার্কিন অ্যাপল কোম্পানির ৮ শতাধিক কারখানার অর্ধেকই চীনে।
এ ছাড়া, চীনে ১৪০ কোটি মানুষের বিরাট বাজার রয়েছে। বর্তমানে চীনের ভোক্তা বাজার ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর চীনে বিক্রির পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মুনাফা ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিতে মূলত চীনের মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো ভয় পাচ্ছে।
(ছাই/তৌহিদ/স্বর্ণা)